স্টাফ রিপোর্টার: চার গণ সংগঠনের নামে ২০ এপ্রিল ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছে সিপিএম। সেই ব্রিগেডের মাঠে ভরাতে দলের যুবকর্মীদের শুক্রবার ডাক দিলেন ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক তথা সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির নবনির্বাচিত সদস্য মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।
রাজ্য রাজনীতিতে সিপিএমের ব্রিগেড মানেই ছিল উপচে পড়া ভিড়। জ্যোতি বসু বা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বাম জমানাতে তো বটেই, ক্ষমতা হারানোর পর সীতারাম ইয়েচুরির সময়কালেও সিপিএমের ব্রিগেডে ভিড় জমেছে। কিন্তু এমুহূর্তে রাজ্য রাজনীতিতে ক্রমশ বিলীয়মান দশার কারণে ২০ তারিখের ব্রিগেডে ভিড় কতটা হবে, তা নিয়ে ঘনিষ্ঠ মহলে সংশয় প্রকাশ করেছেন বহু সিপিএম নেতাই।
তারপরই এদিন মীনাক্ষীর যুব কর্মীদের উদ্দেশে ব্রিগেড ভরানোর ডাক। এদিন আলিমুদ্দিনে সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহাকে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে মীনাক্ষী বলেন, “রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে। তাদের প্রতি রাজ্য সরকারের কোনও দায়বদ্ধতা দেখা যাচ্ছে না। সরকারি দপ্তরে নিয়োগ দুর্নীতি। কৃষক ফসলের দাম পাচ্ছে না, সারের কালোবাজারি হচ্ছে। বস্তিবাসীদের জীবন ক্রমশ কঠিন হচ্ছে। ডিওয়াইএফআইয়ের ৭ জানুয়ারি ব্রিগেডে বলা হয়েছিল মূল অ্যাজেন্ডার লড়াই ভুল অ্যাজেন্ডার বিরুদ্ধে, এবারও তাই একই কথা। তাই সংগঠনের সব স্তরের যুবদের ২০ এপ্রিলের সমাবেশে আসার জন্য ডাক দেওয়া হচ্ছে।”
এদিন শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ওঠা দুর্নীতির ইস্যুতে নাম না করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তথা বিজেপিকেও তীব্র কটাক্ষ করেন মীনাক্ষী। তিনি বলেন, “জেলায় গেলে শুনতে পাওয়া যায় তখন মালদহ, মুর্শিদাবাদ কার দায়িত্ব ছিল টাকা তোলার। সেদিন একসঙ্গে দুর্নীতির বিরিয়ানি খেয়েছো! এখন ঢেঁকুর তুলছো?