• শিক্ষকের আকাল মেটাতে বিকল্প চিন্তা
    আনন্দবাজার | ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হওয়ার পরে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে। এখন অনেক স্কুলে এমন অবস্থা যে উচ্চ মাধ্যমিকের বিষয়ভিত্তিক কোনও শিক্ষকই নেই। ফলে যে বিষয়ের শিক্ষক নেই, সেই স্কুলে সেই বিষয়ের পঠনপাঠন প্রায় উঠে যাওয়ার জোগাড়। এই পরিস্থিতিতে ওই স্কুলগুলির পড়ুয়ারা যেন সেই বিষয়টি পড়া থেকে বঞ্চিত না হয় সে জন্য নতুন পন্থা ভেবেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।

    উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ধরা যাক একটি এলাকায় তিন-চারটি স্কুলে পদার্থবিদ্যার শিক্ষক নেই। কিন্তু ওই এলাকারই অন্য একটি স্কুলে ওই বিষয়ের শিক্ষক আছেন। তা হলে যে স্কুলগুলিতে শিক্ষক নেই, সেই স্কুলের পড়ুয়ারা যে স্কুলে পদার্থবিদ্যার শিক্ষক আছে সেই স্কুলে গিয়ে সপ্তাহে একদিন বা দু’দিন পদার্থবিদ্যার ক্লাস করে আসবে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা স্কুলগুলিকে বলছি যতদিন পর্যন্ত চাকরিহারাদের সমস্যার সমাধান না হয় ততদিন পর্যন্ত যাতে এই ব্যবস্থা চালু থাকে। তাহলে পড়ুয়ারা অন্তত উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পড়াশোনার মাঝখানে অথৈ জলে পড়বে না।’’

    আগামী সেপ্টেম্বরেই উচ্চমাধ্যমিকের তৃতীয় সিমেস্টার হওয়ার কথা। তৃতীয় সিমেস্টার এবং চতুর্থ সিমেস্টার মিলে উচ্চমাধ্যমিকে মূল্যায়ন হবে। ফলে আর বেশি সময় নেই। এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের ক্লাস করা খুব দরকার। চিরঞ্জীব বলেন, ‘‘এই পদ্ধতিতে পড়ানোর কথা কিন্তু রাজ্যে জাতীয় শিক্ষানীতিতে বলা হয়েছে। তাই আমরা শিক্ষকদের এই আবেদন করেছি।’’

    বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন এমনিতেই উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষক সংখ্যা খুব। ফলে কিছু স্কুলে আগেই এই পদ্ধতিতে পড়ানো হয়েছে। শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেছেন, ‘‘উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েও বলছি এটা কোনও স্থায়ী সমাধান নয়। অনেক পড়ুয়ার মা-বাবা সন্তানকে নিজের স্কুল ছেড়ে অন্য স্কুলে পাঠাতে চান না। ফলে আগের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি এই পদ্ধতিতে পড়ানোয় দেখা গেছে পড়ুয়া সংখ্যা খুব বেশি হয় না।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)