শহরের তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ৩২–৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। সেই সঙ্গে বাতাসে বেড়েছে আদ্রতার পরিমাণ। এই অবস্থায় ডগ স্কোয়াডের সদস্যদের সুস্থ রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে লালবাজার। বদল আনা হয়েছে খাবারের মেনুতেও। দেওয়া হচ্ছে টক দই। সেই সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে কুলিং জ্যাকেট এবং আইস বক্স।
গরমের কারণে কমানো হয়েছে পুলিশ কুকুরদের ডিউটির সময়ও। শরীর যাতে সুস্থ থাকে সেজন্য ভোর পাঁচটা থেকে সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত চলছে ট্রেনিং। বিকেলের ট্রেনিং শুরু হচ্ছে বেলা চারটে নাগাদ। চলছে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত। কারণ, ওই সময়ে রোদের তাপ থাকে না।
আলিপুর পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের আউটডোর প্রশিক্ষণ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। সকাল–বিকেল ঠান্ডা জলে সাঁতার কাটার সময় বাড়ানো হয়েছে। চিকিৎসকরা নিয়মিত কুকুরদের পরীক্ষা করছেন। দেওয়া হচ্ছে স্যালাইনও। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানাচ্ছেন, শহরের কোথাও সন্দেহজনক কিছু পাওয়ার খবর এলে বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ কুকুরদের সংশ্লিষ্ট জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়।
পাশাপাশি, কেউ খুন হলে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বার্থে এই সারমেয়দের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আবার, ভিভিআইপিদের সভামঞ্চ এবং আশপাশের চত্বরের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ সারমেয়দের দিয়ে ঘটনাস্থল পরীক্ষা করানো হয়। কলকাতা পুলিশের হাতে বর্তমানে রয়েছে ৪১টি কুকুর। এরমধ্যে রয়েছে ল্যাব্রাডর, জার্মান শেপার্ড এবং ডোবারম্যানের মতো ব্রিড।
গরমের কারণে দুপুর ১ টার আগেই তাঁদের কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ, তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে ওই সময়ে। তবে, বিশেষ প্রয়োজনে বের করতে হলে অবশ্যই কুলিং জ্যাকেট ও আইস বক্স রাখার কথাও বলা হয়েছে।
পাশাপাশি বাইরে ডিউটিতে নিয়ে গেলে হ্যান্ডলারদের সঙ্গে অবশ্যই ভেজা তোয়ালে এবং গ্লুকোজ রাখার কথা বলা হয়েছে। ওই ভেজা তোয়ালে দিয়ে বারবার শরীর মোছানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। কমানো হয়েছে মাংসের পরিমাণ। পশু চিকিৎসক অমলেন্দু চৌধুরীর কথায়,‘কলকাতায় যেভাবে তাপমাত্রা বাড়ছে তাতে শরীর সুস্থ রাখতে টক দই ভীষণ জরুরি। এতে যেমন খাবার হজম হয় তেমনই শরীরও ঠাণ্ডা থাকে।’