পেট্রল পাম্পে শুটআউটে গ্রেপ্তার দুই, এক অভিযুক্ত রাজনৈতিক নেতার পুত্র ...
আজকাল | ১২ এপ্রিল ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই পেট্রল পাম্প কর্মীকে গুলি। গত ৭ ই এপ্রিল আলিপুরদুয়ার দু'নম্বর ব্লকের ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের চালতাতলা এলকায় এক পেট্রোল পাম্পে অজয় মন্ডল নামে এক কর্মীকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, সেইদিন গভীর রাতে একটি বাইকে করে তিন যুবক পাম্পে তেল ভরতে আসে। তাদের দু'জনের মাথায় হেলমেট ও অপর একজনের মুখে রুমাল বাঁধা ছিল। বাইকে তেল ভরার অছিলায় পাম্প কর্মীকে একা পেয়ে তাঁর থেকে নগদ টাকা লুটের চেষ্টা করে। সেই সময় পাম্প কর্মী টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে উদ্দেশ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা।
গুলি পাম্পের কর্মী অজয় মন্ডল-এর মাথায় লাগে। শব্দ শুনে পাম্পের অন্যান্য কর্মীরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপতালে নিয়ে যান। বর্তমানে অজয় মণ্ডল শিলিগুড়িতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ ও মোবাইল নেটওয়ার্কের সূত্র খুঁজে শুক্রবার রাতে জংশন এলাকা থেকে শুভঙ্কর পাল ও শংকর দাস নামে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে শামুকতলা থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে শুভঙ্কর পাল এর কাছ থেকে একটি ৭.৬৫ এমএম রাউন্ডের অত্যাধুনিক পিস্তল ও ৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর গুলি কাণ্ডে যুক্ত আরও এক অভিযুক্ত এখনও অধরা। অভিযুক্ত শংকর দাস-এর মা বিবেকানন্দ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একজন সক্রিয় রাজনৈতিক নেত্রী। পুলিশ সূত্রে খবর, এই দুই অভিযুক্তকে আগেও চুরির একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
শনিবার আলিপুরদুয়ার থানায় সাংবাদিক সম্মেলন করে সমস্ত ঘটনার বিবরণ জানান মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শ্রীনিবাস এমপি। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বলেন, ঘটনার পর থেকেই আমরা অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছিলাম। সিসিটিভি এবং মোবাইল নেটওয়ার্কের তথ্য যাচাই করে আমরা তাদের শনাক্ত করতে পারি। শুক্রবার রাতে তাদের মধ্যে দু'জন অভিযুক্তকে জংশন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের থেকে গুলির ঘটনায় ব্যবহৃত বন্দুক ও তিনটি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অতি দ্রুত তৃতীয় অভিযুক্তকেও আমরা গ্রেপ্তার করব। প্রাথমিকভাবে অনুমান, ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই পাম্পের কর্মীকে গুলি করেছিল দুষ্কৃতীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে ঘটনার তদন্ত করা হবে।