সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক। তাঁদের একাংশ আন্দোলনে নেমেছেন। রাজ্য সরকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেওয়া হলেও আন্দোলনে অনড় তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি ইন্ডোও স্টেডিয়ামে চাকরিহারাদের আশ্বস্ত করেছেন। শুক্রবার চাকরিহারাদের সঙ্গে আড়াই ঘণ্টা বৈঠক করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এরই মধ্যে চাকরিহারাদের আন্দোলন নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের তৃণমূল বিধায়ক সূর্যকান্ত অট্ট।
তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছেন, সেখানে বিরোধীরা একজোট হয়ে অশান্তি পাকিয়ে চাকরিহারাদের পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে চাইছে। চাকরিহারাদের আন্দোলনের মধ্যে মিশে রয়েছে মাওবাদীরা। আর পিছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে বিজেপি ও সিপিএম।’
তৃণমূল বিধায়কের এহেন মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিরোধীরা। কসবা ডিআই অফিসে চাকরিহারাদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের প্রসঙ্গ টেনে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘সেদিন তো চাকরিহারাদের বদনাম করতে ওদের মিছিলে মিশেছিল তৃণমূলের লোকজন। একটি ভাইরাল ভিডিওয় তো একজন তৃণমূল কর্মীকে বলতে শোনা যাচ্ছে, পেট্রোল নিয়ে আয় জ্বালিয়ে দেব!’
চাকরিহারা অবশ্য রাজনীতি থেকে নিরাপদ দূরত্ব অবলম্বন করতে চান। চাকরিহারাদের মঞ্চের অন্যতম মুখ মহম্মদ মেহবুব বলেন, ‘শাসক চাকরি চুরি করেছে বলেই আজ আমরা পথে। আবার বিরোধীরাও চায়, ২০২৬ সাল পর্যন্ত এই ইস্যুকে বাঁচিয়ে রাখতে। যে যার রাজনীতিতে ব্যস্ত, আমাদের স্রেফ দাবার বোর্ডের বোড়ে হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে আবারও বলছি, নিজেদের জীবিকা বাঁচাতে আমরা অরাজনৈতিকভাবেই আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাব।’