সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের প্রতিবাদের নামে ‘গুন্ডামি’ বরদাস্ত নয়। সাধারণ মানুষের রক্ষা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে। মুর্শিদাবাদে ‘তাণ্ডব’ নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। সঙ্গে মানুষকে গুজব ও কোনও প্ররোচনায় পা না দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন ডিজি।
ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। জঙ্গিপুরের পর শুক্রবার সুতি, সামশেরগঞ্জে উত্তেজনা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি। বোমাবাজি। অগ্নিসংযোগ, পুলিশেরকে মার। পালটা লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো, ২ জনের গুলিবিদ্ধর ঘটনা। শেষে বিএসএফের রুট মার্চ। সকালে নতুন করে উত্তেজনা। সামশেরগঞ্জের ধুলিয়ানে তৃণমূল বিধায়ক মণিরুল ইসলামের বাড়িতে ভাঙচুর, দোকান পাঠে আগুন। শনিবার ফের গুলিতে আহত ২ যুবক। সবমিলিয়ে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মুর্শিদাবাদে।
তা নিয়ে শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে কড়া বার্তা দেন রাজীব কুমার। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, “যে বা যারা অশান্তি ছড়াচ্ছে বা চেষ্টা করছে, সেই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গুন্ডামি বরদাস্ত করা হবে না। কেউ প্ররোচনা, গুজবে কান দিয়ে উত্তেজনা ছড়াবেন না। আমাদের সচেতন ভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। মানুষের প্রাণরক্ষার দায়িত্ব আমাদের। অশান্তি থামাতে কঠোর থেকে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে মানুষের সহযোগিতা আমাদের দরকার।”
তিনি আরও বলেন, “যেকোনও ঝামেলায় পুলিশ প্রাথমিকভাবে ন্যূনতম বল প্রয়োগ করে অশান্তি থামাতে চেষ্টা করে। কিন্তু তার মানে এটা নয় আমরা কড়া পদক্ষেপ করব না। ঘটনাস্থলে আমাদের সিনিয়র অফিসাররা উপস্থিত আছেন। পরিস্থিতির উপর কড়া নজরদারি রয়েছে। কোনও দুষ্কৃতীদের ছাড়া হবে না। আপনারা শান্তি বজায় রাখুন।”
রাজীব কুমারের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এডিজি আইন-শৃঙ্খলা জাভেদ শামিম। তিনি জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে পুলিশ ও জনতার খণ্ডযুদ্ধে ১৫জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিকে শুক্রবারে পুলিশের গুলিতে ২ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়ে পুলিশকর্তা বলেন, “শুক্রবার পুলিশের উপর লাগাতার হামলা চালানো হয়। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে আমরা সবরকম চেষ্টা করেছি। তাও অশান্তি ছড়াতেই থাকে। মানুষের প্রাণ ও সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় বাধ্য হয়ে জেলা পুলিশ শুক্রবার গুলি চালিয়েছে। দু’জন আহত হয়েছেন।”
শনিবার সকালে বিএসএফের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, “এই বিষয়ে আমাদের কাছে তথ্য নেই। খুব সম্ভবত বিএসএফ গুলি চালিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা সব রকম ব্যবস্থা নিচ্ছি।” সাংবাদিক সম্মেলনের পর প্রায় তিনটে নাগাদ সামজিক মাধ্যমে রাজ্য পুলিশের তরফে পোস্ট করে জানানো হয় সুতি ও ধুলিয়ানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।