• তিনি না থাকলে ঘণ্টা বাজাবে কে? চাকরি হারিয়েও ভালোবেসে স্কুল চালাচ্ছেন গ্রুপ ডি কর্মী
    প্রতিদিন | ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর চাকরি গিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর গার্লস হাইস্কুলের শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মীদের চাকরি গিয়েছে। স্কুলে একজন করে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডির কর্মী ছিলেন। তাঁদের দুজনের চাকরি যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন স্কুলের অন্যান্য শিক্ষিকারা। গ্রুপ ডির কর্মীর চাকরি যাওয়ায় কে ঘণ্টা বাজাবেন? সেই প্রশ্নও উঠেছিল। এছাড়াও একাধিক কাজকর্ম তিনি করতেন। সব কিছুই আটকে গিয়েছিল। স্কুলের কাজকর্মে সমস্যা দেখা দেবে। সেই কথা ভেবেই স্কুলে গিয়ে নিয়মিত কাজ করছেন গ্রুপ সি ও ডি-র ওই দুই কর্মী।

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন বারুইপুর গার্লস হাইস্কুলের গ্ৰুপ ডি কর্মী কৃষ্ণা মাল দাস। গ্ৰুপ সি কর্মী শুভঙ্কর নস্করের চাকরিও চলে গিয়েছে। ফলে সমস্যায় পড়ে যান স্কুল কর্তৃপক্ষ। কারণ, ওই স্কুলে দুজন গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-র কর্মী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-র দুই কর্মী অবসর নিয়েছিলেন। নতুন কোনও কর্মী তাঁদের জায়গায় নিয়োগ হয়নি। এদিকে সুপ্রিম নির্দেশে এই দুই কর্মীরও চাকরি গেল। ফলে কার্যত মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার। স্কুলের দপ্তরির কাজ কীভাবে হবে? শিক্ষিকাদেরই কি পড়াশোনার পাশাপাশি অফিসের কাজ সামলাতে হবে? সেই প্রশ্ন উঠেছিল।

    কিন্তু তেমনটা এখনও হয়নি। কারণ, চাকরিহারা ওই দুই কর্মী স্কুলে এসে কাজকর্ম সামলাচ্ছেন। স্কুলের গ্ৰুপ সি কর্মী শুভঙ্কর নস্কর দপ্তরে বসে কাজ করছেন। স্কুল ও কাজকে ভালোবেসেই তিনি স্কুলে আসছেন। সেই কথা তিনি জানিয়েছেন। একই কথা জানিয়েছেন, গ্ৰুপ ডি কর্মী কৃষ্ণা মাল দাস। তিনি না এলে ঘণ্টা কে দেবেন? অন্যান্য কাজ কে করবেন? সেই ভাবনা থেকেই তিনিও স্কুলে আসছেন। আগামী দিনে কী হবে এখনও তাঁদের জানা নেই। তবে এখন তাঁরা স্কুলের কাজ চালিয়ে যাবেন। সেই কথা জানিয়েছেন।

    ওই স্কুলের আরও তিন শিক্ষিকার চাকরি গিয়েছেন। তাঁরা স্কুলে আসছেন না বলে খবর। শিক্ষিকারা পঠনপাঠনের দায়িত্ব ভাগ করে নিয়েছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা তৃষা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, স্কুলকে ভালোবেসেই ওই দুই কর্মী আসছেন। তাঁদের অবর্তমানে কীভাবে কাজ হবে? কারা কাজ করবেন? সেসব এখনও অনিশ্চয়তায়।
  • Link to this news (প্রতিদিন)