চাকরিহারা শিক্ষিকাদের দ্রুত ফেরানো হোক, মাথাভাঙার স্কুলে বিক্ষোভ ছাত্রীদের
প্রতিদিন | ১২ এপ্রিল ২০২৫
বিক্রম রায়, কোচবিহার: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বাংলায় প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর চাকরি গিয়েছে। স্কুলগুলিতে পঠনপাঠনের ক্ষেত্রেও দুশ্চিন্তার মেঘ দেখা দিচ্ছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। এই দুশ্চিন্তা ছড়িয়েছে কোচবিহারের মাথাভাঙা গার্লস হাইস্কুলে। এবার চাকরি যাওয়া শিক্ষিকাদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে প্রতিবাদে নামল স্কুলের ছাত্রীরা। ওই শিক্ষিকারা খুব ভালো পড়ান। তাঁরা স্কুলে না থাকলে সমস্যা বাড়বে পঠনপাঠনে। সেই কথা ছাত্রীদের তরফে বলা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মাথাভাঙা হাইস্কুলে মোট ২৭ জন শিক্ষিকা ছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে ওই স্কুলের ছয় শিক্ষিকার চাকরি চলে গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন আছেন বিজ্ঞান বিভাগের, আর একজন বাংলার। বিজ্ঞান বিভাগের পাঁচজনের একসঙ্গে চাকরি চলে যাওয়ায় স্কুলের পরিচালন কমিটির মধ্যেও দুশ্চিন্তা ছড়িয়েছে। কীভাবে বিজ্ঞান বিভাগের পড়াশোনা হবে? কীভাবে সিলেবাস শেষ হবে? সেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই অবস্থায় এবার স্কুলের শিক্ষিকাদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে স্কুলের গেটের সামনে প্রতিবাদ দেখাল ছাত্রীরা। এদিন প্ল্যাকার্ড হাতে তাঁরা বিক্ষোভ দেখায়। ওই ছয় শিক্ষিকা অত্যন্ত ভালো পড়ান। পড়ুয়াদের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কও অত্যন্ত নিবিড়। তাঁরা স্কুলে না থাকলে পড়াশোনার অনেক সমস্যা হবে। সেই কথা বলেছে ছাত্রীরা। প্ল্যাকার্ডেও শিক্ষিকাদের অবিলম্বে ফিরিয়ে আনার কথা লেখা হয়েছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা চিৎকনা সাহা ছাত্রীদের পাশেই দাঁড়িয়েছেন। তিনি জানান, চাকরিহারা ওই শিক্ষিকারা অত্যন্ত ভালো। দক্ষতার সঙ্গে তাঁরা পড়া বোঝাতেন। এত দিন পরীক্ষা চলছিল। আগামী ১৬ তারিখ থেকে স্কুলে নিয়মিত ক্লাস শুরু হবে। তখন কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হবে, সেই আলোচনাই চলছে। আপার প্রাইমারিতে চাকরি পেয়ে নতুন করে তিনজন শিক্ষিকা স্কুলে নিযুক্ত হয়েছিলেন। স্কুলের পঠনপাঠন আরও ভালো করে চালানোর কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু এবার অন্য পাঁচজন বিজ্ঞান শিক্ষিকার চাকরি গেল। ফলে দুশ্চিন্তা থাকছে।