‘পয়লা বৈশাখে বাবার সঙ্গে খাতা ফেরা করতে বের হতাম, অনুভূতি ছিল অন্যরকম…’
প্রতিদিন | ১২ এপ্রিল ২০২৫
বাঙালির পয়লা বৈশাখ মানেই নস্ট্যালজিয়া। পোশাক থেকে খাবার, আড্ডা থেকে হালখাতা, সবেতেই থাকে বাঙালিয়ানার ছাপ। তবে আজকের বাঙালি কি ততটাই উন্মুখ থাকে নববর্ষ নিয়ে? অতীতের স্মৃতিচারণা এবং আগামী নববর্ষের পরিকল্পনা নিয়ে ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালে‘ লিখলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
অনুব্রত মণ্ডল: ছোটবেলায় পয়লা বৈশাখের অনুভূতি ছিল অন্যরকম। তখন বাবার হাত ধরে খাতা ফেরা করতে বেরতাম। এদিক-ওদিক ঘোরাঘুরি করতাম। তখন অনুভূতি অন্যরকম ছিল। পরবর্তীকালে অবশ্য এই নববর্ষের প্রথম দিনটা পরিবারের সঙ্গেই কাটিয়েছি। ওইদিন সকালে প্রথমে পুজো করি। তারপর পার্টি অফিসে যাই, দলীয় কর্মীরা আসে শুভেচ্ছা জানাতে। তাঁদের সঙ্গে মিষ্টিমুখ করি। সবাইকে আমিও শুভেচ্ছা জানাই।
নববর্ষের দিনটাও অন্যান্য দিনের মতোই আমার কাটে। বিশেষ কিছু নয়। তবে হ্যাঁ, আগের চেয়ে সাম্প্রতিক কয়েক বছরের পয়লা বৈশাখ উদযাপনে বদল এসেছে। আমার স্ত্রী বিয়োগের পর এই দিনটায় বিশেষ কিছু করতে মন চায় না। এখন পয়লা বৈশাখের দিন সকালে পুজো করি। তারপর মেয়ে সুকন্যাকে নিয়ে, দলীয় কর্মীদের নিয়ে দিনটা পার্টি অফিসেই কাটাই।
আসলে একটা সময় পর থেকে আমার জীবনটা তো পুরোপুরি রাজনীতি কেন্দ্রিক হয়ে গিয়েছিল। এখন দিনের বেশিরভাগ সময় কাটে এই কাজে। পার্টি অফিসে বসে জেলার সব খবরাখবর নিই, সকলের সঙ্গে পরামর্শ করি। পয়লা বৈশাখের দিনটাও সেভাবেই কাটাব এবার। সকালে বাড়িতে পুজো করার পর মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বোলপুরের পার্টি অফিসে যাব। সেখানে সারাদিন থাকব। দলীয় কর্মী, সমর্থকরা সবাই আসবেন। প্রতিবারের মতো এবারও লাড্ডু আনাব। সবাইকে বিলি করব। জনগণকে বলব, খুব আনন্দে কাটান নববর্ষ। উন্নয়নের পাশে থাকুন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থেকে দিনটা কাটান।