• রামনবমীর পর হনুমান জয়ন্তী, হিন্দুত্বে শান দিতে বজরংবলীর শরণে বিজেপি
    প্রতিদিন | ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ভোটবাক্সকে মজুবত করতে মরিয়া শাসক-বিরোধী সকলেই। ভোটবাক্সকে মজবুত করতে হিন্দুত্বে শান দিতে ব্যস্ত গেরুয়া শিবির। তাই রামের পর এবার বজরংবলীর শরণে বিজেপি। তাই হনুমান জয়ন্তীতে দিকে দিকে মিছিল, গেরুয়া ধ্বজা বিলি করা হয়।

    শনিবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির সোদপুরে যান বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বাড়ি বাড়ি ঘুরে ধ্বজা বিলি করেন তিনি। রাস্তায় চলা গাড়ি থামিয়েও গেরুয়া ধ্বজা লাগিয়ে দেন সুকান্ত মজুমদার।

    এরপর বিজেপির উত্তর কলকাতা সাংগঠনিক জেলায় গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করেন সুকান্ত। সঙ্গে ছিলেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। সদ্য পাশ হওয়া ওয়াকফ আইনের প্রশংসা করেন। তাঁর দাবি, “সিএএ-র মতো ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়েও ভুল বোঝানো হচ্ছে মুসলমানদের।” হনুমান জয়ন্তীতে হিন্দুদের একজোট হওয়ার আহ্বান জানান। “রাজনৈতিক দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে ধর্মের জন্য কাজ করুন। সংস্কৃতির জন্য কাজ করুন। এই লড়াইতে আপনার পাশে আছে সুকান্ত মজুমদার।”

    প্রত্যেককে নিজের বাড়িতে গেরুয়া পতাকা লাগানোর অনুরোধ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত নিজেও তাঁর সল্টলেকের বাড়িতে গৈরিক ধ্বজ বন্ধন কর্মসূচি করেন।

    উল্লেখ্য, বিজেপির বাংলা দখলের চেষ্টা নতুন নয়। তবে একের পর এক নির্বাচনে বারবার মুখ থুবড়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির। একে তো দুর্বল সংগঠন। তার উপর আবার তাদের ঘরোয়া কোন্দলে জেরবার গেরুয়া শিবির। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নির্বাচনী লড়াইয়ের ব্যর্থতা মোকাবিলায় বাধ্য হয়ে হিন্দুত্বে শান দিতে চাইছে বিজেপি। সে কারণে কখনও রাম আবার কখনও বজরংবলীকে হাতিয়ার করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। তবে তাতে কিছু যায় আসে না শাসক শিবিরের। উন্নয়নের পক্ষে বাংলার মানুষ ফের তৃণমূলকেই ভোট দেবে বলেই প্রায় নিশ্চিত নেতা-কর্মীরা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)