'কেউ কেউ চাইছে বাংলা জ্বলুক', ওয়াকফ নিয়ে এবার মুখ খুললেন অভিষেক
হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ এপ্রিল ২০২৫
ওয়াকফ ইস্যুতে বাংলায় হিংসা নিয়ে এবার মুখ খুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। হিংসার ঘটনায় নাম না করে বিরোধীদেরই তোপ দাগেন অভিষেক। তৃণমূল সাংসদ বলেন, 'উন্নয়নের ইস্যুতে রাজনৈতিকভাবে আমাদের সাথে লড়াই করতে ব্যর্থ হওয়ার পরে অনেকেই ধর্মের নামে বিভেদের বীজ বপন করতে চাইছে। এভাবে বাংলায় অস্থিরতা ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি আজ সকলের কাছে শান্তি বজায় বজায় রাখার আবেদন করছি। এবং বাংলার সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখার আবেদন জানাচ্ছি। আমাদের সকলকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। কেউ কেই চাইছে বাংলা জ্বলুক।'
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভের জেরে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল শুক্রবার। এই হিংসার জেরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন কিশোর আছে। সে গতকাল গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। এদিকে আজ সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ স্থানীয়দের। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। এলাকায় এখন বিএসএফ টহল দিচ্ছে। জানা গিয়েছে, সামশেরগঞ্জের রানিপুরের জাফরাবাদে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগ, বাবা ও ছেলেকে প্রথমে পেটানো হয়েছে, তারপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। এরপর জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বাড়ি ও টোটো। অভিযোগ, পুলিশকে বারবার ফোন করা হলেও পুলিশ আসেনি।
দিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় সকলকে শান্ত থাকার বার্তা দিয়েছেন। অপরদিকে পশ্চিবঙ্গের ডিজিপি তাণ্ডবকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এর আগে জানা যায়, শনিবার সকাল পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিকই ছিল মুর্শিদাবাদে। তবে বেলা গড়াতেই ফের হিংসা ছড়ায় সেখানে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ধুলিয়ান পুরসভাতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এদিকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয় এবং পরে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে ফারাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলামের দাদা আলির বাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী বিধায়ককেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। এদিকে মুর্শিদাবাদে হিংসার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি এলাকায় টহল দিচ্ছে বিএসএফ।