কোন পথে চাকরিহারা আন্দোলন? খোঁজ নিল HT বাংলা, হবে বিরাট ঘোষণা, অনশনেও বড় আপডেট!
হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ এপ্রিল ২০২৫
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশের। শিক্ষামন্ত্রী নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু এখনও পুরোপুরি আশ্বস্ত হতে পারছেন না চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ। আগামী দিনে কোন পথে হবে আন্দোলন? কী ভাবছেন চাকরিহারা শিক্ষকরা? খোঁজ নিল হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
অবস্থানে বসেছেন চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ। সেই অবস্থান চলবে। তবে এবার নতুন করে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করার পরিকল্পনা নিয়েছেন তাঁরা। রবিবার এনিয়ে তাঁরা ঘোষণা করতে পারেন।
আন্দোলনকারীদের অন্যতম চাকরিহারা শিক্ষক চিন্ময় মণ্ডল হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে বলেন, ১৬ এপ্রিল আমাদের ১৫০জন শিক্ষক শিক্ষিকা দিল্লির যন্তরমন্তরের সামনে অবস্থানে বসবেন। তার প্রস্তুতি চলছে। একদিনের জন্য় এই আন্দোলন হবে। তবে বাংলাতেও আমরা আন্দোলনকে চালিয়ে নিয়ে যাব। তার রূপরেখা তৈরি হচ্ছে।
অবস্থানে বসা চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ বলেন, রবিবার নতুন করে আন্দোলনের রূপরেখার কথা ঘোষণা করা হতে পারে। তবে শান্তিপূর্ণভাবেই আন্দোলন করতে চাইছেন তাঁরা। সেই সঙ্গেই রাজনীতির কোনও রঙ যাতে তাঁদের আন্দোলনে না লাগে তার জন্য়ও সবরকম উদ্যোগ নিচ্ছেন তাঁরা।
অন্য়দিকে আচার্য সদনের সামনে অনশনে বসেছেন তিনজন চাকরিহারা শিক্ষক। পঙ্কজ রায়, সুমন বিশ্বাস ও প্রতাপ কুমার সাহা অনশনে বসেছেন। সেখানে যে চাকরিহারা শিক্ষকরা রয়েছেন তাঁদের একাংশের মতে, পুলিশ এখানে ত্রিপল টাঙাতে দিচ্ছে না। বায়োটয়লেটও বসাতে দিচ্ছে না। একেবারে অমানবিক ব্যবহার করা হচ্ছে আমাদের সঙ্গে। তবে এবার সরকারের উপর চাপ বাড়াতে নতুন কিছু পন্থা নেবেন তাঁরা?
চাকরিহারা শিক্ষক রাজীব হাঁসদা হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন, আন্দোলনের শেষ পন্থা হল অনশন। সেটাই আমরা গ্রহণ করেছি। আমাদের তিনজন চাকরিহারা শিক্ষক অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে নানাভাবে অসহযোগিতা করা হচ্ছে আমাদের সঙ্গে। এবার আমরা বলতে চাইছি আরও একাধিক শিক্ষক এবার অনশনে বসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আরও একাধিক শিক্ষক অনশনে বসতে পারেন এবার।
সূত্রের খবর বর্ধমানের এক চাকরিহারা শিক্ষক অনশনে বসার জন্য তৈরি। তিনি ইতিমধ্য়েই এনিয়ে যোগাযোগ করেছেন অনশনকারীদের সঙ্গে। সেক্ষেত্রে অনশনকারীদের সংখ্যা বাড়লে স্বাভাবিকভাবে চাপ বাড়বে সরকারের উপরেও। সেই সঙ্গেই রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি লেখার কথাও ভাবছেন তাঁরা। সব মিলিয়ে সরকারের উপর চাপ তৈরির জন্য আন্দোলনের একাধিক শান্তিপূর্ণ পথ নিয়ে আলাপ আলোচনা করছেন তাঁরা। অনশনকারীদের সংখ্যা বাড়তে পারে সোমবার থেকে।
তবে আরজিকর আন্দোলনের মতো শিক্ষকদের এই আন্দোলন জনতার আন্দোলন হয়ে উঠছে না কেন?
এনিয়ে এক চাকরিহারা শিক্ষক বলেন, আমাদের মধ্য়ে নানা রাজনীতি ও শিক্ষক সংগঠনের লোকজন রয়েছেন। সেকারণে সামান্য কিছু সমস্যা তো আছেই। তবে একটা জায়গায় আমাদের মধ্য়ে মিল আছে। সেটা হল আমরা সকলেই যোগ্য। আমরা সকলেই চাকরিহারা।