আগে ইএমইউ লোকাল ট্রেনের দুই প্রান্তে দুটি করে মহিলা কামরা ছিল। তবে মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে সেই সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। শিয়ালদা বিভাগের সমস্ত ইএমইউ রেকে সংযুক্ত করা হয়েছে। বিশেষ করে অফিস টাইমে মহিলা যাত্রীদের ভিড় সামাল দিতে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। তবে লোকাল ট্রেনে মহিলা কামরা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের পরেই সম্প্রতি আশোকনগর, বারাসত প্রভৃতি স্টেশনে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন পুরুষ যাত্রীরা। তাঁদের দাবি ছিল, মহিলা কোচ বৃদ্ধির ফলে সাধারণ কোচের সংখ্যা কমে যাবে। এবার মহিলা কোচ সংযোজনের কারণ ব্যাখ্যা করল রেল।
পূর্ব রেলের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, অফিস টাইমে শিয়ালদা বিভাগে মোট যাত্রীদের প্রায় ২৫ শতাংশ হলেন মহিলা। কোচ সংযোজনের ফলে মহিলা কামরাগুলিতে ভিড় অনেকটাই কমেছে। ফলে আগের ২টি মহিলা কোচের পাশাপাশি আরেকটি মহিলা কোচ সংযোজন মহিলাদের যাত্রীদের চাহিদা পূরণে অপরিহার্য ছিল।
দ্বিতীয়ত, আগে মহিলা কামরা কম থাকার ফলে ট্রেনে ওঠানামার ক্ষেত্রেও অসুবিধা হচ্ছিল মহিলা যাত্রীদের। যার ফলে দুর্ঘটনা বা স্টেশনে ট্রেন বেশিক্ষণ স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকার ঘটনা ঘটছিল। তাই, ভিড় কমাতে ও পরিচালনাগত দক্ষতা বাড়াতে মহিলা কোচ বাড়ানো জরুরি ছিল।
তৃতীয়ত, আগে লোকাল ট্রেনে ৯টি কোচ ছিল। সেখানে দুটি মহিলা কামরা ছিল। বর্তমানে শিয়ালদা স্টেশনের ২৩টি প্লাটফর্মে ১২ কোচের ইএমইউ চলাচল করে। এখন প্রায় ৯৫০টি ১২ কোচের ইএমইউ চলছে। তার মধ্যে মাত্র ৩টি মহিলা কোচ এবং বাকি ৯টি সাধারণ কোচ। ফলে কোনওভাবেই সাধারণ যাত্রীদের জন্য কোচ কমেনি। বরং বেড়েছে।
রেলের আরও ব্যাখ্যা, অনেক মহিলা যাত্রী সাধারণ কোচে ভিড় কম থাকলেও নিরাপত্তার কারণে বিশেষ করে রাতে আরপিএফের উপস্থিতির কারণে মহিলা কামরায় ওঠেন। ফলে, মহিলা কোচ বৃদ্ধি সুরক্ষা, স্বাচ্ছন্দ্য এবং সামাজিক নিরাপত্তার দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। রেলের তরফে আরও জানানো হয়েছে, শিয়ালদা বিভাগে যাতে আগামিদিনে ১৫ কোচের ইএমইউ চালানো যায় তার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।