চাকরিহারারা কেন স্কুলে যাচ্ছেন? রাজ্যকে আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠালেন ববিতারা
হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ এপ্রিল ২০২৫
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়ে গিয়েছে ২০১৬ সালের এসএসসির পুরো প্যানেল। রায়ের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি ইন্ডোরে চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠকে তাঁদের স্কুলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এবার চাকরিহারাদের শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা স্কুলে যাওয়ার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠল এসএসসি এবং শিক্ষা দফতরের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে তাদের আইনি নোটিশ পাঠালেন এসএসসির মামলাকারী ববিতা সরকার, সেতাব উদ্দিন, নাসরিন খাতুন, লক্ষ্মী তুঙ্গা এবং আবদুল গনি আনসারি।
জানা গিয়েছে, তাঁদের তরফে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম এই আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। রাজ্যের শিক্ষা দফতরের সচিব, শিক্ষা দফতরের কমিশনার, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে আদালত অবমাননার আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
তাঁদের দাবি, সুপ্রিম কোর্ট যে প্রায় ২৬,০০০ জনের চাকরি বাতিল করেছে, স্কুলে যাওয়ার ফলে সেই নির্দেশ কার্যকর হচ্ছে না। উল্লেখ্য এর আগে সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে মন্তব্য করায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন আইনজীবী সিদ্ধার্থ দত্ত।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি গিয়েছিল ববিতা সরকারের আবেদনের ভিত্তিতে। পরে ববিতা চাকরি পেলেও কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁরও চাকরি যায়। শিলিগুড়ির অনামিকা রায় ববিতার জায়গায় চাকরি পান। তবে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অনামিকাও চাকরিচ্যুত হয়েছেন।
শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, যোগ্য অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব নয়। অভিযোগ, সুপ্রিম রায়ে চাকরি যাওয়ার পর ওই শিক্ষকদের স্কুলে যোগদানের বিষয়ে শিক্ষা দফতর স্পষ্ট ভাবে কিছু জানায়নি। তারপরেও অনেক শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী স্কুলে যাচ্ছেন।
সেই শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা কেন স্কুলে যাচ্ছেন? তাই নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। শিক্ষা দফতরের সচিব বিনোদ কুমার, শিক্ষা দফতরের কমিশনার অরূপ সেনগুপ্ত, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।