• যারা হিংসা ছড়াচ্ছে, তারা ‘মীরজাফর’? উস্কানি দিচ্ছে BJP? দাবি ফিরহাদের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদ করার নামে একদল উন্মত্ত জনতার বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানো, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা, এমনকী পুলিশের উপর হামলারও অভিযোগ উঠেছে। একের পর এক ঘটনার জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মুর্শিদাবাদের নানা এলাকা। একইসঙ্গে রাজ্য়ের অন্যান্য অংশেও প্রতিবাদ আন্দোলন হচ্ছে। কিন্তু, আন্দোলনের হিংসাত্মক চরিত্র নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেই আবহে এবার আন্দোলনের নামে হিংসা ছড়ানো 'প্রতিবাদী'দের 'মীরজাফর' বলে তোপ দাগলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। একইসঙ্গে, এই অশান্তির জন্য কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে।

    এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিমকে উদ্ধৃত করে এবিপি আনন্দে তাঁর যে মন্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে, তা হল - 'মীরজাফর তো সব জায়গাতেই থাকে। সেদিনও মীরজাফর ছিল, আজও আছে। যারা মীরজাফর, তারা এটা করে বিজেপির হাত শক্ত করার চেষ্টা করছে। যেহেতু এটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাটি, এখানে ধড়াম করে পুলিশ কারও উপর গুলি চালায় না। বুলডোজার রাজ হয় না। তাই এখানে লাফালাফি বেশি। বিজেপির উস্কানিতেই লাফালাফি। সত্যিকারের প্রতিবাদ করতে হলে যান, যেখানে বুলডোজার দিয়ে মুসলিম সম্পত্তি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে, যোগীর রাজ্যে যান। সেখানে দেখি প্রতিবাদ কীভাবে হয়?'

    অর্থাৎ - এই মন্তব্য অনুসারে - ফিরহাদের বার্তা হল, বিজেপির উস্কানিতেই একদল মানুষ ইচ্ছা করে প্রতিবাদের নামে রাজ্যকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এমনটা করা হচ্ছে।

    প্রসঙ্গত, সংশোধিত ওয়াকফ আইনে প্রতিবাদে আগেই উত্তাল হয়েছিল জঙ্গিপুর। এরপর শুক্রবার থেকে সুতি, সামশেরগঞ্জ এলাকায় প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের সঙ্গে প্রতিবাদীদের রীতিমতো সংঘর্ষ বেধে যায়। পুলিশকে লক্ষ্য লাগাতার ইটবৃষ্টি চলতে থাকে। যার ফলে একটা সময় স্থানীয় মসজিদে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয় পুলিশকে। আত্মরক্ষার তাগিদে পুলিশকর্মীরাও গুলি ছুড়তে বাধ্য হন। তাঁদের বিরুদ্ধে কাঁদানে গ্য়াসের সেল ফাটানোরও অভিযোগ ওঠে। এমনকী, পরিস্থিতি শান্ত করতে বিএসএফ-কে পর্যন্ত রাস্তায় নামাতে হয়!

    ফিরহাদের বক্তব্য অনুসারে, যাঁরা আন্দোলনের নামে এভাবে তাণ্ডব করছেন, তাঁরা আসলে সবাই 'মীরজাফর'। অর্থাৎ - তাঁরা সাধারণ সংখ্যালঘুদের ভিড়ে মিশে থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অশান্তি ছড়াচ্ছেন? সেটাই কি বলতে চাইছেন রাজ্যের মন্ত্রী?

    তবে, মন্ত্রী যাই বলুন না কেন, অশান্তি বন্ধ করতে রাজ্য পুলিশ যে অত্যন্ত কঠোরভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে, তা ইতিমধ্যেই সাফ করে দিয়েছেন ডিজি রাজীব কুমার। তিনি জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে কোনও গুন্ডামি বরদাস্ত করা হবে না। রাজ্যে শান্তি ফেরাতে 'জিরো টলারেন্স' নীতি মেনেই যা পদক্ষেপ করার, তা পুলিশ প্রশাসন করবে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)