ইমাম মোয়াজ্জেমদের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মমতা, ওয়াকফ আইন নিয়ে বার্তা দেবেন কি?
হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ এপ্রিল ২০২৫
সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের অবস্থান ঠিক কী? আগামী ১৬ এপ্রিল মমতা নিজেই কিসেকথা জানাবেন? এমনই একটি দাবি উঠে আসছে ওই দিনের একটি ঘোষিত কর্মসূচি ঘিরে।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, আগামী ১৬ এপ্রিল সল্টলেকের নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে একটি সভার আয়োজন করেছে 'অল ইন্ডিয়া ইমাম মোয়াজ্জেম সোশাল অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন'। কলকাতার নাখোদা মসজিদের ইমাম মহম্মদ শফিক কাশমি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আগামী ১৬ তারিখের ওই সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে, রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্য়মের একাংশে দাবি করা হচ্ছে, ওই সভার মঞ্চ থেকে সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে নিজের, তৃণমূল কংগ্রেস এবং রাজ্য সরকারের অবস্থানও স্পষ্ট করতে পারেন মমতা।
প্রসঙ্গত, তৃণমূল কংগ্রেস প্রথম থেকেই ওয়াকফ সংশোধনী বিলের প্রতিবাদ করে এসেছে। দলের একাধিক সাংসদ সংসদের ভিতরে ও বাইরে এ নিয়ে সরব হয়েছেন। কিন্তু, তারপরও এই বিল আটকানো সম্ভব হয়নি বিরোধীদের পক্ষে। কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার কার্যত নজিরবিহীনভাবে ভোর রাতে এই বিল লোকসভায় পাস করায়। পরবর্তীতে তা রাজ্যসভাতেও পাস হয়ে যায়।
আর, তার ঠিক পর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয় সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদ। মুসলিম সমাজ বলছে, এই আইন তীব্রভাবে তাদের বিরোধী। কেন্দ্রীয় সরকার আসলে যেকোনও উপায়ে ওয়াকফ সম্পত্তিগুলি দখল করে তা বিক্রি করে দেওয়ার ছক কষছে। সেই কারণেই এই আইনি সংশোধন করা হয়েছে। অন্যদিকে, কেন্দ্রের বক্তব্য - তারা দরিদ্র মুসলমান এবং মুসলিম নারীদের অধিকার রক্ষা করতে এই সংশোধিত আইন এনেছে।
এই প্রেক্ষাপটে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের আগুনে নানা জায়গায় অশান্তি ছড়াচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গেও দফায় দফায় হিংসার ঘটনা ঘটছে। এহেন একটি পরিস্থিতিতে আগামী ১৬ এপ্রিল মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ওয়াকফ নিয়ে কোনও বার্তা দেন কিনা, বা দিলেও তিনি ঠিক কী বলেন, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও ইতিমধ্যেই তিনি একাধিকবার মুসলিম সমাজের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন এবং সংখ্যালঘুরা যাতে কোনও প্ররোচনায় পা না দেন, সেই আবেদনও করেছেন। জৈনদের একটি অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে বাংলার সকল ধর্মের মানুষকে মিলেমিশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় জাতীয় কংগ্রেস যেমন আদালতে মামলা রুজু করেছে, তেমনই এককভাবে একই কারণে মামলা দায়ের করেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।