মুর্শিদাবাদের অশান্ত এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের স্পেশাল বেঞ্চ। এ দিন শুনানি চলাকালীন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ শোনায় আদালত, শান্তি বজায় রাখাই প্রধান লক্ষ্য। মুর্শিদাবাদে যা হচ্ছে, তাতে আদালত চোখ বন্ধ করে থাকতে পারে না। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই আবেদনে সাড়া দিল বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরীর স্পেশাল বেঞ্চ। রাজ্যের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজ করতে হবে। এই ধরনের অভিযোগ উঠলে আদালত যে পদক্ষেপ করবেই, এ দিন তা স্পষ্ট করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। পরিস্থিতি বুঝে অন্যত্রও বাহিনী পাঠানো যাবে, এমনও পর্যবেক্ষণ আদালতের।
গত দু’দিন ধরে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ, সুতি, ধুলিয়ানে অশান্তির অভিযোগ উঠছে। ভাঙচুর, লুঠপাট, অগ্নিসংযোগের মতো অভিযোগ রয়েছে সেখানে। এই অশান্তিতে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। অন্য দিকে অশান্তির শিকার এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
এই আবহে শনিবার রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় অশান্তির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানান, অশান্ত এলাকাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক। এ দিন ছুটি থাকলেও প্রধান বিচারপতির নির্দেশে বিশেষ বেঞ্চ বসে বিকালে।
শুনানি পর্বে রাজ্য জানিয়েছিল, অশান্তি নিয়ন্ত্রণে আনতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুলিশের ডিজি নিজে মুর্শিদাবাদে যাচ্ছেন। মামলাকারীর আইনজীবী পাল্টা দাবি করেন, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কারণে সিআরপিএফ মোতায়েনের পক্ষে সওয়াল করছেন তাঁরা। সবপক্ষের সওয়াল জবাব শেষে এই নির্দেশ দেয় হাইকোর্টের স্পেশাল বেঞ্চ।