ডিজের তাণ্ডব, হাতে হাতে অস্ত্র! রামনবমীর কায়দায় হনুমান জয়ন্তীর উদযাপন বাঁশবেড়িয়ায় ...
আজকাল | ১৩ এপ্রিল ২০২৫
মিল্টন সেন, হুগলি: রামনবমীর পর এবার হনুমান জয়ন্তী। কাতারে কাতারে মানুষ রাস্তায়। ছোট-বড় সকলের হাতেই অস্ত্র। লেজার গান থেকে ছুটছে আগুনের ফুলকি। কালার গান থেকে ছড়িয়ে পড়ছে রঙ মশালের মত গেরুয়া আবির। ডেসিবেলের হিসেব না মানা পরিত্রাহি ডিজের তাণ্ডব। আর সেই ডিজের তালে চলছে অস্ত্র হাতে উদ্দাম নাচ। হনুমান জয়ন্তীতে বাঁশবেড়িয়া কলবাজারে এভাবেই ফুটে উঠল রামনবমীর ছবি।
পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে হাজির থাকতে দেখা গেল পুলিশ সুপার গ্রামীণ কামনাশিস সেনকে। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সরকার, ডিএসপি প্রিয়ব্রত বক্সী, সিআই অরুপ ভৌমিক সহ পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের। রামনবমীর মতো হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রায় সামিল হতে দেখা গেল তৃণমূল বিধায়ক সহ স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বকে।
বাঁশবেড়িয়া কলবাজারে হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে বিশাল শোভাযাত্রা হয় প্রতিবছর। স্থানীয় ক্লাব ও হনুমান সেবা সমিতি জনকল্যাণ সংঘ এই শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। শোভাযাত্রা হনুমান মন্দির থেকে বেরিয়ে প্রায় চার কিমি রাস্তা ঘুরে আবার কলবাজারে শেষ হয়।
শনিবার দুপুরে আয়োজিত সেই শোভাযাত্রায় দেখা গেল সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্তকে। তাঁর বিধানসভা এলাকাতেই হয় এই শোভাযাত্রা। এদিন তপন দাশগুপ্ত বলেছেন, 'উৎসব সবার। শোভাযাত্রায় হিন্দু মুসলিম সবাই হাঁটছে। এর মানে সর্ব ধর্মের একটা মিলন রয়েছে রাজ্যে। আমরা ইদেও থাকি, মহরমেও থাকি। আবার রামবমীতেও থাকি, আবার হনুমান জয়ন্তীতেও থাকি। আমরা সব উৎসবে সকলের সঙ্গে, প্রতিবারই থাকি।' অস্ত্র নিয়ে শোভাযাত্রা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'কিছু বাচ্চা ছেলে খেলনা পিস্তল নিয়ে বেরিয়েছে। টিনের তরোয়াল নিয়ে ঘুরছে। এগুলো সত্যিকারের নয়। আমাদের পুলিশ প্রশাসন খুব ভাল ব্যবস্থা নিয়েছে।'