• মুর্শিদাবাদ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পর অধীরের সঙ্গেও ফোনে কথা রাজ্যপালের
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৩ এপ্রিল ২০২৫
  • মুর্শিদাবাদের উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে চিন্তিত রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শুক্রবার রাতেই পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। শনিবার তিনি এবার কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর সঙ্গেও কথা বললেন। কীভাবে জেলায় শান্তি ফেরানো যায় তা নিয়ে তিনি আলোচনা করেন এই দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে।

    মুর্শিদাবাদে উদ্ভূত হিংসা পরিস্থিতিতে কীভাবে রাজ্যের শান্তি ও আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখা যাবে, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর। রাজ্যপাল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপের কথা বলেছেন। পাশাপাশি, রাজ্যবাসীকে বার্তা দিয়েছেন সিভি আনন্দ বোস। তিনি রাজ্যের প্রতিবাদী মানুষের উদ্দেশ্যে জানিয়েছেন, ‘আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না, আর নিলেও সেটা একদমই বরদাস্ত করা হবে না’। রাজ্যপালের কথায়, গণতন্ত্রে প্রতিবাদ হতেই পারে, তাই বলে সেটা হিংসায় পরিণত করাটা কোনওভাবেই কাম্য নয়।

    শুক্রবার এক ভিডিও বার্তায় রাজ্যপাল স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রয়েছে। এই বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথাও হয়েছে। কিন্তু একান্তে তাঁদের কী কথা হয়েছে তা তিনি গোপন রেখেছেন। শুধু তাই নয়, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গেও তাঁর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। ঘটনায় রাজ্য যে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে সেটাও রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন রাজ্যপাল।

    এদিকে শনিবার পরিস্থিতি যখন আরও উত্তপ্ত, তখন রাজ্যপাল ফোন করেন মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস নেতা ও বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধীরঞ্জন চৌধুরীকে। তিনি কংগ্রেসকে জেলায় শান্তি স্থাপনে এগিয়ে আসার বার্তা দিয়েছেন। অধীর আপাতত রয়েছেন দিল্লিতে। দু-একদিনের মধ্যে তিনি রাজ্যে ফিরবেন। তা সত্ত্বেও পরিস্থিতির বিচার করে অধীরের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন রাজ্যপাল। তিনি ‘জু়ম’-এর মাধ্যমে ভার্চুয়ালে বৈঠক করেন জেলার কংগ্রেসনেতাদের সঙ্গেও।

    জানা গিয়েছে, অধীর অভিযোগ করেছেন, পুলিশের প্রাথমিক নিষ্ক্রিয়তার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে মুসলিমদের যে ভাবাবেগ রয়েছে, তা পুলিশের বোঝা উচিত ছিল। তাঁর দাবি, সুতি বা ধুলিয়ানে যে ভাবে লুটপাট চলেছে, তা করেছে বাইরের লোকজন।

    তিনি বলেন, সাম্প্রতিক অতীতে এরকম কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেছে বলে তাঁর মনে পড়ছে না। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, আশির দশকে একবার একটা ঘটনা ঘটেছিল, কিন্তু সেটা এরকম ছিল না। তিনি তখন রাজনীতি না করলেও সবাই মিলে রাস্তায় নেমে হিংসা থামিয়েছিলেন বলে দাবি করেন।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)