চাকরিহারারা কেন স্কুলে যাচ্ছেন? শিক্ষাকর্তাদের বিরুদ্ধে অবমাননার নোটিস ববিতাদের
দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৩ এপ্রিল ২০২৫
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী। কিন্তু তারপরও স্কুলে যাচ্ছেন বেশ কিছু শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী। এর ফলে আদালতের নির্দেশ কার্যকর হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কার্যকর না হওয়ার অভিযোগ তুলে আইনি নোটিস পাঠানো হল শিক্ষা দফতর এবং এসএসসির আধিকারিকদের। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে মন্তব্য করায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন আইনজীবী সিদ্ধার্থ দত্ত।
রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের সচিব, শিক্ষা দপ্তরের কমিশনার, স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) চেয়ারম্যান এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে আদালত অবমাননার আইনি নোটিস পাঠানো হল। এসএসসি মামলার মূল মামলাকারী ববিতা সরকার, সেতাব উদ্দিন, নাসরিন খাতুন, লক্ষ্মী তুঙ্গা এবং আব্দুল গনি আনসারি এই নোটিস পাঠিয়েছেন। আইনজীবী ফিরদৌস শামিম এবং গোপা বিশ্বাস তাঁদের হয়ে নোটিস পাঠিয়েছেন।
বেশ কয়েক বছর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে চাকরি হারিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী। ববিতা সরকারের আবেদনের প্রেক্ষিতেই চাকরি হারান তিনি। এরপর আদালতে নির্দেশে অঙ্কিতার চাকরি পান ববিতা। যদিও পরবর্তীকে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ববিতাও চাকরি হারান। সেই চাকরি পান শিলিগুড়ির অনামিকা রায়। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি হারিয়েছেন অনামিকাও।
২০১৬ সালের এসএসসির সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে সরকার পোষিত এবং সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের ২৫,৭৫২ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী চাকরি হারিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে শিক্ষকদের স্কুলে যাওয়া নিয়ে শিক্ষা দপ্তর কোনও স্পষ্ট নির্দেশিকা দেয়নি। ফলে স্কুলে যাওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি ইন্ডোরের সভায় চাকরিহারা শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের স্কুলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে চাকরি বাতিলের কোনও নথি না পাওয়ায় অনেক শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীই স্কুলে যাওয়া বন্ধ করেননি। তাঁরা কেন স্কুলে যাচ্ছেন, সেই প্রশ্ন তুলে মূল মামলাকারীদের আইনজীবীরা শিক্ষা দপ্তরের সচিব বিনোদ কুমার, শিক্ষা দপ্তরের কমিশনার অরূপ সেনগুপ্ত, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় নোটিস পাঠিয়েছেন।