অর্ণব দাস, বারাকপুর: ভাটপাড়া, নৈহাটিতে ফের ভেঙে চুরমার অর্জুন সিংয়ের একাধিপত্য! সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেল তৃণমূল। ভাটপাড়া-নৈহাটি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের সমবায় সমিতির ভোটে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন ছিল শনিবার। দেখা গেল, ৪৪টি আসনের তৃণমূল প্রার্থীদের বিরুদ্ধে দাঁড়াননি কেউই। ফলে বিনা লড়াইয়ে জয়ী ঘাসফুল শিবির। জয়ী প্রার্থীরাই নিজেদের মধ্যে থেকে একজনকে সমবায় সমিতির চেয়ারম্যানকে বেছে নেবেন।
একসময় এই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান ছিলেন ভাটপাড়ার দীর্ঘদিনের বিধায়ক অর্জুন সিং। তিনি ২০১৯ সালে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এই সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান হন জিতু সাউ। তাঁর মৃত্যুর পর থেকে চেয়ারম্যানের পদ শূন্য ছিল। এবার নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাতে দেখা যায়, ৪৪টি আসনের একটিতেও লড়াইয়ে নেই বিরোধী দল। ফলে একচেটিয়াভাবে জিতে বোর্ড গঠনের পথে তৃণমূল।
ভাটপাড়া-নৈহাটি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের সমবায় সমিতির নির্বাচনে এই ফলাফল প্রসঙ্গে নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক সনৎ দে জানিয়েছেন, ”আমাদের দলের নেতা, সাংসদ পার্থ ভৌমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, কোনও কাউন্সিলর, বিধায়ক বা জনপ্রতিনিধি এই সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান বা অন্য কোনও পদাধিকারী হবেন না। যাঁরা এই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ককে সুন্দরভাবে চালাতে চান, তাঁদেরই দায়িত্ব দেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, বছর খানেক আগেও ভাটপাড়া, নৈহাটি এলাকায় অর্জুন সিংয়ের দাপট ছিল। প্রায় সবই চলত তাঁর অঙ্গুলিহেলনে। কিন্তু চব্বিশের লোকসভা ভোটে বারাকপুর শিল্পাঞ্চল থেকে তৃণমূলের বিপুল জয়ের পর থেকে কোণঠাসা হতে থাকেন ‘বাহুবলি’ নেতা। একমাত্র ভাটপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রই এখন কার্যত তাঁর অধীনে। ছেলে পবন সিং এখানকার বিজেপি বিধায়ক। আশপাশের সমস্ত বিধানসভা এলাকাতেই ঘাসফুলের জনপ্রতিনিধিরা কার্যত তাঁকে ঘিরে ফেলেছেন। ভাটপাড়া-নৈহাটি সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনেও তার প্রভাব পড়ল।