চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তুলেছিলেন সৌমিত্র! বাঁকুড়ার মিছিল থেকে তোপ তৃণমূলের
প্রতিদিন | ১৩ এপ্রিল ২০২৫
অসিত রজক, বিষ্ণুপুর: চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ! বাঁকুড়ার মিছিল থেকে এমনই অভিযোগ করল তৃণমূল। একা সৌমিত্র নন, বিধায়ক দিবাকর ঘরামী, দিপালী সাহার বিরুদ্ধেও আঙুল তুলেছে তারা। পালটা দিয়েছে বিজেপিও। তাদের দাবি, তখন কেন সৌমিত্রকে গ্রেপ্তার করতে পারলেন না?
সুপ্রিম রায়ে এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের বিরোধিতায় রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছে সোনামুখী তৃণমূল। সোনামুখী সিনেমাতলা থেকে চৌমাথা মোড় পর্যন্ত একটি মিছিল করে তারা। সেই মিছিলের শেষে সোনামুখী পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা বিষ্ণুপুর পুর সাংগঠনিক জেলার আইএনটিটিইউসি নেতা সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের প্রশ্ন,”দিবাকরবাবু আর সৌমিত্রবাবু কান খুলে শুনে রাখুন, আমরাও বলছি চাকরিতে দুর্নীতি হয়েছে। তৎকালীন সময়ে চাকরিগুলিতে দুর্নীতি কে করেছে? দিপালী সাহা এখন কোন দলে? তখন তৃণমূলে ছিল এখন সে বিজেপিতে। দিপালী সাহার বাড়িতে গিয়ে জবাব চান।” তাঁর আরও দাবি, “সৌমিত্র খাঁ সোনামুখী থেকে চাকরি দেওয়ার নামে আপনি কত টাকা তুলে নিয়ে গিয়েছেন? তৃণমূলের সাংসদ থাকাকালীন কত ছেলেকে মিথ্যাচার করে পয়সা নিয়ে গিয়েছেন? প্রেস মিট করে সেই ছেলেগুলোকে একবার বসাব নাকি?” তাঁর আরও অভিযোগ, “সবথেকে বেশি চাকরি হয়েছে মেদিনীপুর জেলায়। বাবা শুভেন্দু অধিকারী, ঠাকুর ঘরে কে আমি তো কলা খাইনি! যত চুরি করবে তোমরা আর চোরের মায়েদের বড় গলা।” সোমনাথ মুখোপাধ্যায় আরও অভিযোগ করেন, “এখনও বেশ ছেলে যাদের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তারা সৌমিত্র খাঁ-কে ফোন করেন। কিন্তু সৌমিত্র খাঁ ফোন ধরে না। চাকরিগুলো করে দেয়নি পয়সাগুলো মেরে দিয়েন। আমরা তার প্রমাণও দিয়ে দিতে পারি।”
এই বক্তব্যে পালটা সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামী বলেন, “আপনি বলছেন সৌমিত্র খাঁ যিনি এখন আমাদের সাংসদ তিনি যখন তৃণমূলের সাংসদ ছিলেন তখন নাকি তিনি টাকা তুলেছেন! পুলিশ প্রশাসন সবকিছু তো আপনাদেরই, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে একটাও কেস করেননি কেন? এখনও সৌমিত্র খাঁ-কে ধরেননি কেন? আপনারা পারবেন না। সৌমিত্র খাঁ সেই সময় চুরির প্রতিবাদ করেছে বলে, চুরি করবে না বলে, সে ওই দল থেকে বেরিয়ে এসে বিজেপি করছে।”