• বিডিও অফিসের কর্মী পরিচয় দিয়ে ‘বাংলার বাড়ি’র জন্য ১০ হাজার দাবি
    বর্তমান | ১৩ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, পতিরাম: ১০ হাজার টাকা দিলে বাংলার বাড়ির দ্বিতীয় কিস্তির টাকা তাড়াতাড়ি ঢুকবে। বিডিও অফিসের কর্মী পরিচয় দিয়ে উপভোক্তাদের বাড়ি গিয়ে দেওয়া হচ্ছে এমনই টোপ। এমন টোপ পেয়ে বালুরঘাট থানার দ্বারস্থ ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মাঝি গ্রামের উপভোক্তা অলোক সরকার।

    তাঁর বক্তব্য, শুক্রবার হঠাৎ এক ব্যক্তি বাইক নিয়ে আমার বাড়ি আসেন। তিনি নিজেকে ব্লক অফিসের কর্মী বলে পরিচয় দেন। এরপরই সার্ভের নামে ঘর ও আধার কার্ডের ছবি তোলেন। এরপরই আমার কাছে দশ হাজার টাকা চাইলে আমার সন্দেহ হয়। আমি তাঁর অ্যাকাউন্ট নম্বর চাই। কিন্তু তিনি দেননি। 

    অলোকের সংযোজন, এই ব্যক্তি বলেন, দশ হাজার টাকা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ঘরের দ্বিতীয় কিস্তি টাকা ঢুকে যাবে। পরে গ্রাম পঞ্চায়েত ও বিডিও অফিসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি এমন কোনও সার্ভে হচ্ছে না। এরপরই আমি পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছি। অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু করেছে বালুরঘাট থানার পুলিস। 

    বালুরঘাটের বিডিও সম্বল ঝা বলেন, বিষয়টি শুনেছি। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ব্লক থেকে কেউ ওই উপভোক্তার বাড়ি যায়নি। যারা টাকা চাইছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবিষয়ে বালুরঘাট সদর ডিএসপি বিক্রম প্রসাদ বলেন, পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  

    বাংলার বাড়ি প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে ঘরের কাজ শুরু করেছেন অলোকবাবু। ঘরের নীচের অংশ হয়েছে। এবার দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ঢোকার  অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে এই টোপ। 

    অভিযোগ, ওই ব্যক্তি ওই পঞ্চায়েতের আরও অনেক জায়গায় ঘুরছে। অনেকের কাছে টাকাও চেয়েছে বলে দাবি গ্রামবাসীর। এবিষয়ে ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির উপপ্রধান শিবু সরকার বলেন, আমরা অভিযুক্ত ব্যক্তির খোঁজ শুরু করেছি। 

    ঘরের জন্য কাউকে টাকা না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিডিও থেকে উপপ্রধান,-সবাই। এনিয়ে মানুষকে সচেতনও করছে প্রশাসন। জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি সুভাষ চাকী বলেন, বাংলার বাড়ির জন্য টাকা দিতে হয় না। বিষয়টি পুলিস তদন্ত করছে।
  • Link to this news (বর্তমান)