সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: শহরের পাড়ায়, গলিতে নেশার আড্ডায় আতঙ্কিত বাসিন্দারা। সারাদিন নেশার আসর, হই হট্টগোল, অশ্লীল গালিগালাজের ফলে বাড়িতে থাকা যাচ্ছে না। শনিবার শিলিগুড়ি পুরসভায় টক টু মেয়র ফোন ইন লাইভ অনুষ্ঠানে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রবি গুপ্তা গৌতম দেবের কাছে এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ওয়ার্ডের সন্তোষী নগর সহ বিভিন্ন এলাকায় অলিগলিতে সারাদিন নেশার আসর বসছে। এখানে হইচই, অশ্লীল গালিগালাজের ফলে বাড়িতে থাকা যাচ্ছে না।
মেয়র গৌতম দেব বলেন, নেশার আড্ডা শিলিগুড়ির এখন সবথেকে বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে। এর বিরুদ্ধে আমরা লড়াই শুরু করেছি। সমস্যার সমাধানে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। পুলিসের সঙ্গে এনিয়ে আমাদের আলোচনাও হয়েছে।
এদিকে, পুলিস পদক্ষেপ করলেও সমস্যা অন্যত্র। অভিযান চালিয়েও যদি পুলিস এই মাদকাসক্তদের ধরে ফেলে, তবে তাদের রাখার ক্ষেত্রে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় হোমের অভাব। মেয়র বলেন, পুলিস জানিয়েছে এই নেশাগ্রস্তদের হোমে রাখা দরকার। তাই এই সমস্যার কথা মাথায় রেখে ড্রাগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্যাডলারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। শীঘ্রই পুলিস আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। সেখানে এব্যাপারে কথা হবে।
এদিন টক টু মেয়র ফোন ইন লাইভ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন এলাকা থেকে নাগরিকেরা তাঁদের পানীয় জল, বেহাল রাস্তা ও নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। আবার অনেকে তাঁদের পারিবারিক সমস্যার সমাধান নিয়েও মেয়রের সাহায্য চেয়েছেন। প্রতিটি অনুষ্ঠানে এ ধরনের ফোন এসে থাকে। কিন্তু এদিন একটি ফোন একটু ব্যতিক্রমী ছিল। পুরসভার কাজে ত্রুটি ধরিয়ে ইঞ্জিনিয়ারদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অমলেন্দু দাস। তিনি বলেন, তাঁর বাড়ির সামনে দিয়েই যে নিকাশি নালাটি তৈরি করা হয়েছিল, তার ঢাল প্রথম থেকেই ভুল ছিল। বলার পর দু’বার ভেঙে মেরামত করা হয়। কিন্তু তারপরও সেই ত্রুটি ঠিক হয়নি। পুরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ইঞ্জিনিয়ারদের জানানোর পরও, এভাবে টাকার অপচয় নিয়ে কেউ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে বাড়ির সামনে জল জমে থাকছে। সেই জমা জলে ডেঙ্গুর আতঙ্কে আমরা দিন কাটাচ্ছি। মেয়র তাঁকে আশ্বাস দেন, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার।