• প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ পঞ্চায়েতমন্ত্রীর
    বর্তমান | ১৩ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি ও সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: ৪০ বছর পর কেন্দ্রীয় সরকারের পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা পেয়েছে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলা। সেই বরাদ্দ কীভাবে খরচ করা হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নে উত্তরবঙ্গের মধ্যে ভালো কাজ করছে দার্জিলিং, কালিম্পং জেলা এবং শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ। বরাদ্দ টাকা সঠিক সময়ে খরচ ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। তবে সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিলেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। তিনি আরও জানান, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মে মাসের মধ্যে নিজেদের কাজ শেষ করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। 

    শনিবার শিলিগুড়ি দীনবন্ধু মঞ্চে দার্জিলিং, শিলিগুড়ি ও কালিম্পং জেলা নিয়ে পর্যালোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এদিন এই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ কুমার মজুমদার, কৃষি বিপণন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না, শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক প্রীতি গোয়েল, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষ সহ অন্যান্যরা। মূলত পঞ্চায়েত এলাকাকে সার্বিকভাবে উন্নত করার লক্ষ্যে ওই বৈঠক হয়। বৈঠকে বিভিন্ন পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক কাজ, কৃষির অগ্রগতি এবং গ্রামীণ পরিকাঠামো শক্তিশালী করার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। 

    পঞ্চায়েত মন্ত্রী বলেন, উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং, কালিম্পং ও সমতলের পঞ্চায়েত এলাকায় ভালো কাজ হচ্ছে। কর্মীরাও ভালো কাজ করছেন। সামনে বিধানসভা নির্বাচন। সেজন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমস্ত কাজ শেষ করতে হবে। তবে নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে নয়, সারা বছর আমাদের সরকার মানুষের স্বার্থকে সামনে রেখে কাজ করে চলেছে।

    এদিন সভার আগে সকালে নকশালবাড়ির সাতভাইয়াতে সিএডিসি’র কাজকর্ম খতিয়ে দেখেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। এদিনের এই কর্মসূচিতে তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিশেষ সচিব পি উলগানাথন সহ শিলিগুড়ি সিএডিসি চেয়ারম্যান অলোক চক্রবর্তী। এদিন সিএডিসি’র শুয়োর, মুরগির বিভিন্ন ফার্ম, প্লানটেশন, মৎস্য চাষ পরিদর্শন করে দেখেন মন্ত্রী। এনিয়ে মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, সিএডিসি’র উদ্দেশ্য হল নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে কৃষকদের অবগত করানোর পাশাপাশি তাঁদের কৃষিকাজে আরও আগ্রহ বাড়ানো। এখানে এসে এই ছোট জায়গাতে চাষাবাদ, পশুপালনের পদ্ধতি দেখে তা খুব ভালো করে বুঝতে পেরেছি। যাবতীয় পদ্ধতি কৃষকরা জানতে পারলে, তাঁরা তাঁদের কার্যকারিতা বেশি করে প্রমাণিত করতে পারবেন। স্থানীয় কৃষকরা উপকৃত হবেন। এখানে ভেনিলা, মিয়াজাকি আম চাষ করা হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)