নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: মোবাইল ফোনের আসক্তি কমাতে সামান্য বকেছিলেন মা। আর এতেই অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি রায়গঞ্জের লক্ষ্যনীয়া এলাকার। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সকাল দশটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। রায়গঞ্জ থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার বলেন, ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে কোনও অভিযোগ না হওয়ায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুলিস। ঘটনায় শোকস্তব্ধ এলাকাবাসী।
মৃত ছাত্রীর মামা কার্তিক বর্মণ এবং পিসেমশাই শঙ্কর মাহাতের দাবি, এমনিতে শান্ত স্বভাবের হলেও মোবাইল ফোনে মেয়েটির আসক্তি ছিল। ও মহারাজা গার্লস স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। এদিন মোবাইলে আসক্তি নিয়ে ওর মা ওকে সামান্য বকাবকি করে। এরপর ওর বাবা মা সকলেই নিজেদের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তাঁদের কথায়, মেয়েটির বাবা দোকানে গিয়েছিল। মা ছাগলের ঘাস কাটতে মাঠে গিয়েছিল। ছোট ভাই বাড়ির বাইরে খেলা করছিল। মনে মনে অভিমান কাউকে বলতে পারেনি সে। সে সময় বাড়ি ফাঁকা থাকায় গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়ে মেয়েটি। অভিভাবকরা বাড়ি ফিরে দেখেন মেয়েটি ঘরের সিলিংয়ের সঙ্গে ওরনার মাধ্যমে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলে রয়েছে। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। ওকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। তারপরই রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়। এদিকে একটা সামান্য বিষয়ের জন্য ছাত্রীটির জীবন শেষ করে দেওয়ার ঘটনায় একদিকে যেমন এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়, তেমনই প্রতিবেশী থেকে আত্মীয়স্বজন সকলেই রীতিমতো তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন। চিকিত্সকরা বলছেন, সময় বদলাচ্ছে। বাবামায়েদের উচিত বাড়ির সন্তানদের চোখে চোখে রাখা। ওরা কোন কথায় অভিমান করছে সেটা বোঝা। ওদের মন হালকা রাখা।