• দুধের বালতি উল্টে যাওয়ায় ছোট জাকে রক্তাক্ত করল বধূ, থানায় অভিযোগ
    বর্তমান | ১৩ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: পারিবারিক অশান্তি ছিলই। এমন আবহে দুধভর্তি একটি বাটি উল্টে যাওয়ার মতো সামান্য ঘটনা নিয়ে দুই জায়ের মধ্যে বচসা, হাতাহাতি। শেষে ছোট জায়ের কানের দুল ধরে টেনে দেয় বিবাদমান বড় জা। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ছোট জা। জখম বধূর নাম পারভিনা সম্পা বেগম(২৮)। এমনই অভিযোগে শনিবার দুপুরে চাঞ্চল্য ছড়ায় ইটাহারের গুলন্দর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মুকুন্দপুর এলাকায়। আংশিক কেটে যাওয়া কান নিয়ে রায়গঞ্জ  মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছোট জা। তাঁর কানে আটটি সেলাই হয়েছে। পারিবারিক এই অশান্তি এবং মারধরের ঘটনা নিয়ে তদন্তে নেমেছে ইটাহার থানার পুলিস। 

    পরিবার সূত্রে খবর, ইটাহারের গুলন্দর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মুকুন্দপুর এলাকার বাসিন্দা পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক নুরুল হাসানের সঙ্গে আটবছর আগে বিয়ে হয় গুলন্দর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পাড়েরগ্রামের বাসিন্দা পারভিনা সম্পা বেগমের। দম্পতির একটি কন্যা ও পুত্র সন্তান রয়েছে। তাঁর স্বামী নুরুল বর্তমানে মুম্বইতে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। একা থাকার সুযোগে নুরুলের দাদা সফিকুল আলি ও তার স্ত্রী মালন বিবি মাঝেমধ্যেই পারভিনার সঙ্গে বিনা প্ররোচনায় অশান্তি পাকায়। পারভিনার দাদা হাসেন আলি সরকার জানিয়েছেন, আমাদের জামাই নুরুল বাইরে থাকেন। এই সুযোগে মাঝেমধ্যেই আমার বোনের সঙ্গে নুরুলের দাদা ও তাঁর স্ত্রী ঝামেলা করে। আজ সামান্য দুধ পড়ে যাওয়া নিয়ে বচসার জেরে আমার বোনকে মারধর করে তারা। তারই মাঝে কানের দুল কান থেকে টেনে ছিড়ে নেয়। জামা কাপড় ছিড়ে দেয়। শেষে রক্তাক্ত অবস্থায় পারভিনাকে আমরা চিকিৎসার জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। পুলিসে অভিযোগ করেছি।
  • Link to this news (বর্তমান)