সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: শনিবার প্রায় দু’ঘণ্টা অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম বসে যাওয়ায় গঙ্গারামপুর শহরে চৈত্র সেলের বাজার করতে এসে দুর্ভোগ বাড়ল ক্রেতা ও বিক্রেতাদের। নববর্ষের আগে নতুন জামা কাপড় কিনতে এখন দোকানে দোকানে ভিড়। এর মধ্যে শনিবার দুপুরে অনলাইন লেনদেনে দেখা গেল বিভ্রাট। চৈত্র সেলের বাজার করতে এসে জিনিস কিনে অনলাইনে প্রেমেন্ট না করতে পেরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হল ক্রেতাদের। বালুরঘাট সাইবার থানার আইসি সৌরভ ঘোষ বলেন, আমরাও লক্ষ করেছি অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমের একটু সমস্যা হয়েছিল। আমাদের ধারণা, সেন্ট্রাল সার্ভার মেনটেইন করার সময় সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকের প্রেমেন্ট গেটওয়ে বন্ধ থাকে। সার্ভারের কাজ হলেই সব ঠিক হয়ে যায়।
চায়ের দোকান থেকে কাপড়ের দোকান- এখন সব জায়গায় কিউআর কোডে লেনদেন হয়। নতুন প্রজন্ম অনলাইন লেনদেনে ঝুঁকছে। গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখে সমস্ত দোকানই অনলাইন পেমেন্টের সুবিধা রাখেন। এদিন হঠাৎ করে অনলাইন পেমেন্ট বন্ধ থাকায় ভোগান্তি বাড়ে ক্রেতাদের। এদিন গঙ্গারামপুর শহরের বাসিন্দা অনিরুদ্ধ রায় সপরিবারে জামাকাপড় কিনতে যান। কেনাকাটার পর অনলাইন পেমেন্ট করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন তিনি। তিনি বলেন, দু’ঘণ্টারও বেশি সময় অপেক্ষা করার পর অনলাইনে পেমেন্ট করে জিনিস কিনে বাড়ি ফিরেছি।
একই কথা গঙ্গারামপুর শহরের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী রাহুল আগরওয়ালের। বলেন, হঠাৎ করে আমরাও এই সমস্যা লক্ষ্য করেছি। প্রায় দুঘণ্টা ক্রেতারা জিনিস কিনেও পেমেন্ট করতে পারছিলেন না। অধিকাংশ ক্রেতা এখন অনলাইনে পেমেন্ট করে থাকেন। কী কারণে এদিন দীর্ঘক্ষণ এই সমস্যা হল, বুঝতে পারছি না।
দোকানের কিউআর কোড স্ক্যান করে বারবার টাকা দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টায় অনেকে ভয় পেয়ে যান। ব্যাঙ্কের অ্যাপে গিয়ে অনেকে গচ্ছিত টাকা চেক করে নেন। কিউআর কোডের মাধ্যমে টাকা দিতে না পারায় অনেকে এটিএম থেকে টাকা তুলে বিল মেটান। বালুরঘাট সাইবার থানার আইসির বক্তব্য, সার্ভার কয়েকটি স্তরে সুরক্ষিত থাকে। তাই ভয়ের কোনও কারণ নেই।