• চা বাগানের পড়ুয়াদের জন্য রাজ্যের উদ্যোগে নিখরচায় চালু হচ্ছে স্কুলবাস
    বর্তমান | ১৩ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: নজিরবিহীন উদ্যোগ রাজ্যের। চা বলয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য শীঘ্রই চালু হচ্ছে নিখরচায় স্কুলবাস। প্রথম পর্যায়ে ১০টি বাস নামতে চলেছে। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে রুট চূড়ান্ত হয়ে গেলেই ওই স্কুলবাস চালু হয়ে যাবে বলে শনিবার জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশচিক বরাইক।

    চা বলয়ের পড়ুয়াদের স্কুলে যাতায়াতের ব্যবস্থা করার কথা সংশ্লিষ্ট বাগান কর্তৃপক্ষের। কিন্তু বেশিরভাগ বাগান মালিক এব্যাপারে নিজেদের দায়িত্ব পালন করেন না বলে অভিযোগ। ফলে বহু বাগানের পড়ুয়াদের দূরের স্কুলে হেঁটে যাতায়াত করতে হয়। কোনও কোনও বাগানে আবার চা পাতা বহনের ট্রাক, ট্রাক্টরে চাপিয়ে গাদাগাদি করে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে যাওয়া হয় স্কুলে। গাড়িতে বাঁধা বাঁশ ধরে কার্যত ঝুলতে ঝুলতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয় তাদের।

    চা বলয়ের এই চেনা ছবির বদল ঘটাতেই এগিয়ে এসেছে রাজ্য। চা শ্রমিকের ছেলেমেয়েদের জন্য ঝা চকচকে স্কুলবাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ফলে বাগানের পড়ুয়াদের আর দীর্ঘ পথ হেঁটে স্কুলে যেতে হবে না। কিংবা বাগানের লঝঝরে ট্রাক কিংবা ট্রাক্টর কখন তাদের স্কুলে পৌঁছে দেবে, সেই অপেক্ষাতেও বসে থাকার দরকার পড়বে না। স্কুল টাইমে একেবারে বাগানে হাজির হয়ে যাবে বাস। সেই বাসে চেপে বসবে বাগানের ছেলেমেয়েরা। পড়ুয়াদের স্কুলের আঙিনায় পৌঁছে দেবে বাস। স্কুল শেষে আবার ওই বাসে চেপেই তারা নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরবে। সম্পূর্ণ নিখরচায় ওই পরিষেবা দেওয়া হবে চা শ্রমিকের সন্তানদের।

    তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশচিক বরাইক বলেন, চা বাগানে যেসব স্কুলবাস চলবে, সেগুলি পরিচালনা করবে টি অ্যাডভাইসরি কাউন্সিল। এদিন শিলিগুড়িতে ওই কাউন্সিলের বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। কোন বাগানে কত পড়ুয়া রয়েছে, বাগান থেকে তাদের স্কুলের দূরত্ব কতটা, কে কোন স্কুলে পড়ে, এনিয়ে তথ্য হাতে আসার পরই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসে বাসের রুট তৈরি করা হবে। যত দ্রুত সম্ভব আমরা চা বলয়ে স্কুলবাস চালু করে দেব।

    তবে এই বাস উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের কাছ থেকে নেওয়া হবে না কি নতুন কেনা হবে, সেই বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সাংসদ প্রকাশচিক বরাইক বলেন, টি অ্যাডভাইসরি কাউন্সিলের তরফে আমরা সরাসরি বাস কিনে নিতে পারি। আবার এনবিএসটিসি’র কাছ থেকেও নেওয়া হতে পারে।
  • Link to this news (বর্তমান)