ফোরলেনের জন্য জমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিপূরণের জন্য এল ৯৫ কোটি
বর্তমান | ১৩ এপ্রিল ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: ফোরলেনের জন্য জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণ হিসেবে জলপাইগুড়িতে এল ৯৫ কোটি টাকা। ধাপে ধাপে ওই টাকা ছাড়ার কাজ শুরু হয়েছে। যেসব জমিদাতা হলফনামা জমা দিয়েছেন এবং যাঁদের জমি নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই, তাঁদের টাকা আগে ছাড়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে জেলা ভূমি অধিগ্রহণ দপ্তরের তরফে।
ফোরলেন জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য ২০১১ সাল থেকে জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন ব্লকে জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়। শিলিগুড়ি লাগোয়া রাজগঞ্জ ব্লকের ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকায় বিভিন্ন মৌজায় ৯৫৪টি পরিবারের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ধূপগুড়িতেও বহু জমি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও অনেক জমিদাতা ক্ষতিপূরণ পাননি বলে অভিযোগ। সম্প্রতি এনিয়ে গৌর কুণ্ডু, রামগোপাল কুণ্ডু, বিমল দাসের মতো ফুলবাড়ির বেশকিছু জমিদাতা জেলার ভূমি অধিগ্রহণ দপ্তরে এসে সরব হন। ভূমি অধিগ্রহণ দপ্তরের আধিকারিককে স্মারকলিপি দেন। তাঁদের অভিযোগ, টাকা এসে পড়ে থাকা সত্ত্বেও তা জমিদাতাদের দেওয়া হচ্ছে না। বলা হচ্ছে, তিন কিস্তিতে টাকা মিলবে। দ্রুত ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে দপ্তরের একাংশের কর্মী ‘কমিশন’ চাইছেন।
যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে জলপাইগুড়ি জেলার স্পেশাল ভূমি অধিগ্রহণ আধিকারিক নরবু শেরপা বলেন, প্রত্যেক জমিদাতাই ক্ষতিপূরণের অর্থ পাবেন। ক্ষতিপূরণ পাইয়ে দিতে কমিশন চাওয়া হচ্ছে বলে আমার কাছে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। যাঁরা অভিযোগ করছেন, আমাকে লিখিত দিন। নিশ্চয়ই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তাঁর দাবি, ফোরলেনের জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৯৫ কোটি টাকা এসেছে। একেবারে ওই টাকা ছেড়ে দেওয়ার মতো পরিকাঠামো আমাদের নেই। তাই স্ক্রুটিনি করে ধাপে ধাপে টাকা ছাড়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৩০ কোটি টাকা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ধূপগুড়িতে জমিদাতাদের জন্য ৭ কোটিরও বেশি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ধাপে ধাপে ওই টাকা তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকতে শুরু করেছে। ধূপগুড়ির বারোঘরিয়া মৌজার জমিদাতারা ইতিমধ্যেই ক্ষতিপূরণের অর্থ পেতে শুরু করেছেন। ফলে খুশি তাঁরা। তবে ধূপগুড়ির কয়েকটি জায়গায় এখনও জমিজট কাটেনি। যদিও দ্রুত ওই জট কাটিয়ে ক্ষতিপূরণের অর্থ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে ভূমি অধিগ্রহণ দপ্তরের তরফে।