• দোলে নেশা করে অশ্লীল নাচ, ১২ পড়ুয়ার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ
    বর্তমান | ১৩ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: দোলের দিন নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কলেজের মধ্যে অশ্লীলভাবে নাচানাচির ঘটনায় ১২ পড়ুয়ার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিল কাঁথি পলিটেকনিক কলেজ। শাস্তির কোপে পড়া ওই ছাত্ররা কেউই ২০২৫ সালে সেকেন্ড ইন্টারন্যাল পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। তাঁদের মধ্যে ন’জন পড়ুয়াকে দু’মাস হস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আগামী ১ মে থেকে ওই ছাত্ররা হস্টেল ছাড়বেন। শুক্রবার কলেজের প্রিন্সিপাল প্রবীরকুমার মাইতি নোটিস জারি করে ওই শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। ঘটনায় কলেজের অন্দরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    গত ১৪ মার্চ দোল উৎসবে কলেজের একদল পড়ুয়া নেশাগ্রস্ত অবস্থায় অশ্লীলভাবে নাচানাচি করে বলে অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভিডিও ভাইরাল হয়। তাতে পড়ুয়াদের বেশ কয়েকজনকে নেশা করতে দেখা যায়। ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ছিঃ ছিঃ পড়ে যায়। রাজ্য সরকারের অধীনে কন্টাই পলিটেকনিক কলেজে ওই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়ে কর্তৃপক্ষ। কাঁথির মহকুমা শাসক ওই কলেজের পরিচালন কমিটির সভাপতি। তাঁর নির্দেশে ওই ঘটনায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গড়া হয়। প্রাথমিকভাবে ১৭জন পড়ুয়াকে চিহ্নিত করে নোটিস ধরানো হয়। ওই ১৭পড়ুয়ার মধ্যে ১৫ জন সেকেন্ড ইয়ার এবং দু’জন থার্ড ইয়ারের ছাত্র। অভিভাবক সহ তাঁদের কমিটির সামনে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ১৫ জন পড়ুয়া অভিভাবক আনেননি। তাঁদের মধ্যে তিনজন অভিভাবক না আনার যুক্তিগ্রাহ্য প্রমাণ জমা দেন। ওই তিনজনকে রেহাই দিয়ে বাকি ১২ জনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

    জানা গিয়েছে, তদন্ত কমিটি গোটা ঘটনার নিন্দা করেছে। নোটিস ধরানো ১৭ জন পড়ুয়াকেই সতর্ক করা হয়েছে। অভিভাবক হাজির করানো পড়ুয়াদের রেহাই দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে অভিভাবক অনুপস্থিত থাকার উপযুক্ত কারণ দর্শানো তিন পড়ুয়াকেও রেহাই দেওয়া হয়েছে। বাকি ১২জন শাস্তির কোপে পড়েছেন। তাঁরা সামনের সেকেন্ড ইন্টারন্যাল পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। তাঁদের মধ্যে ফার্মাসি, কেমিস্ট, ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং সহ আরও অন্যান্য‌ ঩বিভাগে ডিপ্লোমা কোর্সে পাঠরত পড়ুয়ারা আছেন। 

    যে সকল অভিভাবক তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হয়েছিলেন তাঁরা সন্তানদের কৃতকর্মের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন। যদিও অধিকাংশ পড়ুয়া লজ্জায় অভিভাবক আনেননি। আর সেই জন্য শাস্তির কোপে পড়তে হল। কলেজের প্রিন্সিপাল প্রবীরকুমার মাইতিকে এসম্পর্কে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। কাঁথির মহকুমা শাসক সৌভিক ভট্টাচার্য বলেন, দোলের দিন কলেজের মধ্যে একটা ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। সেনিয়ে তদন্ত করার জন্য ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গড়তে প্রিন্সিপালকে বলা হয়েছিল। ওই কমিটি কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)