সংবাদদাতা, হলদিয়া: জীবনের উত্তরণে নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস প্রয়োজন। সমাজের বিকাশে বইয়ের বড় ভূমিকা রয়েছে। পাঠ্যবই ছাড়াও নানা ধরনের বই স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের সুস্থ মনের বিকাশে সাহায্য করে। বইমেলা তাদের বিবিধ বইয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। শনিবার হলদিয়া বইমেলার উদ্বোধনে এই বার্তা দেন রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী, প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ এবং বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুশান্ত চক্রবর্তী। হলদিয়া বইমেলা এবার তৃতীয় বর্ষে পড়েছে। এদিন সন্ধ্যায় হলদিয়া বইমেলার উদ্বোধন করেন লক্ষ্মণবাবু। তিনি বলেন, বইমেলার মাধ্যমে স্কুল পড়ুয়াদের নানা ধরনের বইয়ের সঙ্গে পরিচয়, পরবর্তীকালে তাদের পথের দিশা দেখাতে সাহায্য করে। কোন পথে তারা চলবে তা জানাতে সাহায্য করে বইমেলার বিশাল সম্ভার। ছাত্রছাত্রীদের সাহিত্য বিষয়ক বই পড়ার পরামর্শ দেন প্রাক্তন সাংসদ। এজন্য স্কুলের শিক্ষকদের সাহায্য করা দরকার।
মন্ত্রী বিপ্লববাবু বলেন, পৃথিবীর নানা ধরনের বিস্ময়কর ঘটনার ইতিহাস জানতে বই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উৎস। বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ, নজরুলের মতো মনীষীদের জীবনের নানা অকথিত দিক তাঁকে কীভাবে আলোড়িত করেছে বই পড়ার মাধ্যমে, তা তিনি তুলে ধরেন। এদিন উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন হলদিয়া বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিমলকুমার মাজি, মানবাধিকার নেত্রী মানসী দে শেঠ, আইকেয়ারের সম্পাদক আশিস লাহিড়ি, সমাজসেবী প্রণব দাস, সুদর্শন মান্না প্রমুখ। এদিন বিকেলে জাঁকজমকপূর্ণ পদযাত্রার মধ্য দিয়ে বইমেলার সূচনা হয়। মোবাইল ছাড়, বই ধরো স্লোগানে মুখরিত পড়ুয়াদের ওই পদযাত্রায় পা মেলান প্রাক্তন উপাচার্য সুশান্তবাবু এবং আইকেয়ারের সম্পাদক আশিসবাবু। এছাড়াও হলদিয়ার বিশিষ্টজন, ১০-১২টি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা বইমেলার পদযাত্রায় হাঁটেন। লোকশিল্পীদের নাচ-গান, ধামসা মাদল, ডান্ডিয়া, আদিবাসী নৃত্য ও মনিপুরী নৃত্যে জমে ওঠে পদযাত্রা। বইমেলা কমিটির সভাপতি সুজনকুমার বালা ও সম্পাদক সুবিমল দাস বলেন, এবার বইমেলায় ৮০টি স্টল রয়েছে। ৩৫টি প্রকাশনা সংস্থা, জেলার হস্তশিল্প সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার হস্তশিল্পীরা এসেছেন। • নিজস্ব চিত্র