• চাকরি হারিয়েও দায়িত্ব পালনে নিয়মিত বিদ্যালয়ে গ্রুপ ডি কর্মী
    বর্তমান | ১৩ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বারুইপুর: বাড়িতে রয়েছে দুই সন্তান। তার মধ্যে একজন বিশেষভাবে সক্ষম। স্কুলে গ্রুপ ডি পদে কর্মরত ছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন কৃষ্ণা মাল দাস। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রেখে স্কুলে আসছেন। তিনি বারুইপুর গার্লস হাইস্কুলে চাকরি করতেন। এখনও কাজ করছেন। জানা গিয়েছে, এই বিদ্যালয়ে তিনি একাই গ্রুপ ডি কর্মী। তিনি না এলে ঘণ্টা বাজাবে কে? তাই নিয়মিত স্কুলে আসছেন। 

    এর পাশাপাশি স্কুলের গ্রুপ সি কর্মী শুভঙ্কর নস্করেরও চাকরি চলে গিয়েছে। কৃষ্ণাদেবীর মতো তিনিও আসছেন ভালোবাসার কারণে। তাঁকে সঙ্গ দিতে আসছেন সদ্য স্কুল থেকে অবসর নেওয়া গ্রুপ সি কর্মী তাপস মুখোপাধ্যায়। এঁদের কাজে খুশি স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা কৃষ্ণা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, গ্রুপ ডি কর্মী না এলে ঘণ্টা আমাদেরই বাজাতে হতো। এক গ্রুপ সি কর্মীর চাকরি চলে গিয়েছে। আর এক গ্রুপ সি কর্মী অবসরের পরও এসে কাজ চালাচ্ছেন স্কুলের অসুবিধার কথা ভেবে। চাকরি চলে যাওয়ার পরও ওই গ্রুপ সি কর্মী স্কুলে নিয়মিত আসছেন। এঁদের কাজকে বাহবা দিতেই হয়।

    বারুইপুর গার্লস হাই স্কুলে তিনজন শিক্ষিকা সহ একজন গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি চলে গিয়েছে। তিন শিক্ষিকার মধ্যে একজন অঙ্কের, দু’জন ইংরেজির এবং বাংলার। তিন শিক্ষিকা স্কুলে না আসায় পঠনপাঠনে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। গ্রপ ডি কর্মী কৃষ্ণাদেবী বলেন, যোগ্যতার সঙ্গে চাকরিতে ঢুকেছিলাম। কিন্তু সেই চাকরি আর নেই। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন আমাদের বিষয়টি দেখবেন। তাই আবার স্কুলে আসছি। আমি ছাড়া আর কোনও গ্রুপ ডি কর্মী নেই। পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত গ্রুপ সি কর্মী তাপস মুখোপাধ্যায় বলেন, আমি ডিসেম্বর মাসে অবসর নিয়েছি। আর এক গ্রুপ সি কর্মী শুভঙ্করের চাকরি চলে গিয়েছে। এই অবস্থায় কাজ চলবে কী করে? তাই আসা। 
  • Link to this news (বর্তমান)