নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কেন্দ্রের নয়া ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু এলাকায়। হিংসায় প্রাণ গিয়েছে তিন জনের। কিন্তু যে আইনের বিরুদ্ধে এত প্রতিবাদ, তা এখানে লাগুই হবে না বলে শনিবার স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এই ইস্যুতে সবাইকে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন মমতা। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, ‘কোনও হিংসাত্মক কার্যকলাপকে আমরা প্রশ্রয় দিই না। কিছু রাজনৈতিক দল ধর্মকে অপব্যবহার করে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে চাইছেন। তাদের প্ররোচনায় পা দেবেন না। আমি মনে করি, ধর্ম মানে মানবিকতা, সহৃদয়তা, সভ্যতা ও সম্প্রীতি। সকলে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখুন, এই আমার আবেদন।’
শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শনিবার সোদপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘বাংলায় ধর্মের নামে ভেদাভেদ করে অশান্তি তৈরির চেষ্টা চলছে। কিন্তু বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে হবে। কেউ কেউ বাংলায় আগুন লাগাতে চায়। এখন সবাইকে সজাগ এবং সতর্ক থাকতে হবে।’
সূত্রের খবর, উদ্ভূত পরিস্থিতির উপর নজর রেখে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য প্রশাসন এবং পুলিসের পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে লাগাতার যোগাযোগ করছেন। প্রসঙ্গত, বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে একটি অনুষ্ঠান থেকেসমস্ত সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, এরাজ্যে কারও সম্পত্তি কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। শনিবার মমতা জানিয়েছেন, ‘মনে রাখবেন, যে আইনের বিরুদ্ধে অনেকে উত্তেজিত, সেই আইনটি কিন্তু আমরা করিনি। আইনটি কেন্দ্রীয় সরকার করেছে। তাই উত্তর যা চাওয়ার, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চাইতে হবে।আমরা এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য সুস্পষ্ট ভাবে বলেছি। আমরা এই আইনকে সমর্থন করিনা। এই আইন আমাদের রাজ্যে লাগুও হবে না। তাহলে দাঙ্গা কীসের?’মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘প্রত্যেক মানুষের প্রাণই মূল্যবান। রাজনীতির স্বার্থে দাঙ্গা লাগাবেন না। দাঙ্গা যাঁরা করছেন, তাঁরা সমাজের ক্ষতি করছেন।’ দাঙ্গায় যারা উস্কানি দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।