‘বাংলায় তৃণমূল না-থাকলে ওয়াকফ আইন কার্যকর হয়ে যাবে’! অশান্তি থামাতে বার্তা দিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম
আনন্দবাজার | ১২ এপ্রিল ২০২৫
বাংলায় তৃণমূল ক্ষমতায় না-থাকলে ওয়াকফ আইন কার্যকর হয়ে যাবে। সঙ্গে বাড়বে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ। এমন আশঙ্কার কথা তুলে ধরে অশান্ত এলাকায় শান্তি ফেরাতে বার্তা দিলেন। রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শনিবার বিধানসভায় প্রয়াত রাজনৈতিক রেজ্জাক মোল্লাকে শেষ বারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন তিনি। সেখানেই এক প্রশ্নের উত্তরে ফিরহাদ বলেন, ‘‘তৃণমূল না-থাকলে ওয়াকফ কার্যকর হয়ে যাবে। আর আপনারা অশান্তি করলে কেন্দ্রীয় সরকার হস্তক্ষেপ করবে। আমরা কেউ তা চাই না। আর মুখ্যমন্ত্রী তো বলেই দিয়েছেন, ওয়াকফ আইন কার্যকর হবে না। তাই এখানে প্রতিবাদ করার কী যুক্তি আছে?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাটি। এখানে কেউ দড়াম করে গুলি চালিয়ে দেয় না, বুলডোজ়ার রাজ হয় না। বিজেপির উস্কানিতেই এখানে লাফালাফি হচ্ছে। মিরজ়াফর তখনও ছিল, এখনও আছে। যাঁরা বিজেপির উস্কানিতে অশান্তি করছেন, তাঁরা আসলে বিজেপির হাত শক্ত করছেন।’’
হুঁশিয়ারি দিয়ে কলকাতার মেয়র বলেন, ‘‘যোগীর রাজ্যে গিয়ে প্রতিবাদ করুন। এখানে প্রতিবাদ করে কী হবে? পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আছে। এখানে সবাই আমরা শান্তিতে থাকি। এখানে কারও ক্ষতি করে লাভ নেই। এখানে রাস্তায় নেমে কারও ক্ষতি করা মানে বিজেপির ভোট বাড়ানো। রাস্তায় নেমে গুন্ডামি করবেন না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যার যা ক্ষতি হয়েছে, তা পশ্চিমবঙ্গ সরকার দেখে দেবে। সব কিছুর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে শান্তি বজায় রাখতে হবে। এখানে এ ভাবে টুকরো টুকরো হয়ে প্রতিবাদ করে কিছু হবে না। দোকান ভেঙে, ইট মেরে, পুলিশের গাড়ি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ হতে পারে না। এতে বিজেপির হাত শক্ত করা হবে।’’ প্রসঙ্গত, ওয়াকফ আইন তৈরি হওয়ার পর থেকেই দেশ তথা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ক্ষোভ-বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। সেই সঙ্গে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করা হচ্ছে। সেই সব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই এ কথা বলা হয়েছে।
একই ভাষায় পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওয়াকফ আইন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো বলেইছেন যে, এ রাজ্যে তা তিনি কার্যকর করতে দেবেন না। তার পরেও কেন এত উগ্রতার সঙ্গে এই সব করা হচ্ছে? যাতে বিজেপি রাজনীতি করার সুযোগ না পায়, তার জন্য শান্তিরক্ষার আবেদন আবেদন করছি আমরা।’’