• শান্তি ফেরাতে রাজ্যপাল বদল করা উচিত, দাবি করছেন বিজেপির বিধায়কই !
    এই সময় | ১৩ এপ্রিল ২০২৫
  • পশ্চিমবঙ্গের শান্তি ফিরিয়ে আনতে হলে সবার আগে রাজ্যপাল পরিবর্তন করা উচিত । অন্য কেউ নন, এই দাবি বিজেপির বিধায়কের। ওয়াকফ আইনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। সেখানে ইতিমধ্যেই ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আদালতের নির্দেশ মেনে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারীর করা মামলার জেরে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। শান্তিরক্ষায় পুলিসের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ওয়াকফ আইন নিয়ে বিক্ষোভ শুরুর পরে মুর্শিদাবাদ-সহ গোটা রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই রাজ্যের এই পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেই দায়ী করলেন খড়্গপুরের বিধায়ক হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় ওরফে হিরণ। মুর্শিদাবাদ ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করার সঙ্গে রাজ্যপালকেও কটাক্ষ করেন বিজেপির এই বিধায়ক।

    শনিবার একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে মেদিনীপুর এসেছিলেন হিরণ। সেখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোসকে আক্রমণ করেন খড়্গপুর সদরের বিজেপি বিধায়ক। রাজ্যজুড়ে অশান্তি চললেও রাজ্যপাল চুপ করে বসে আছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। হিরণ বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মা-বোনেরা কাঁদছেন। আর তা দেখে মনে হয় আমাদের রাজ্যপাল খুব উল্লসিত হচ্ছেন! সেই জন্যই উনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে অ-আ-ক-খ শিখছেন। তাই, পশ্চিমবঙ্গের শান্তি ফিরিয়ে আনতে হলে সবার আগে এই রাজ্যপাল-কে হয় পরিবর্তন করা উচিত কিংবা তাঁর ঘুম থেকে জেগে ওঠা উচিত।’ একই সঙ্গে তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর মদতেই শিলিগুড়ি থেকে মালদা, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, হুগলি, চব্বিশ পরগণা সর্বত্র সন্ত্রাস চলছে। আর রাজ্যের পুলিশ চুপচাপ দাঁড়িয়ে সব কিছু দেখছে।

    অন্য দিকে, রাজ্যপাল জানিয়েছেন, মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি সামাল দিলে হাইকোর্ট যথাযথ এবং সময়োচিত পদক্ষেপ করেছে। তিনি বলেন , ‘ সেখানে শান্তি বজায় রাখা এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা দরকার ছিল।’ সেখানে শান্তি ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানিয়েছেন রাজ্যপাল।

  • Link to this news (এই সময়)