এই সময়, লাটাগুড়ি: পর্যটকদের যাতায়াতের পথে ঘুরে বেড়াচ্ছে বেশ কয়েকটি দাঁতাল হাতি। আর তাই লাটাগুড়ি জঙ্গল সাফারিতে বাড়তি সতর্কতা বন দপ্তরের। কয়েকদিন আগে ক্রান্তি ব্লকের আপালচাঁদ রেঞ্জের বনাঞ্চলে জ্বালানি আনতে নিয়ে হাতির আক্রমণে প্রাণ হারান তিনজন। তারপর সমস্ত বনাঞ্চল জুড়েই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। জ্বালানি সংগ্রহ করতে মানুষজন যাতে জঙ্গলের ভেতরে না যান সে বিষয়ে বন দপ্তরের তরফে সতর্ক করা হয়েছে। এখন সাফারি পথে দাঁতালের উপস্থিতি টের পেতেই আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না বনকর্তারা
বন দপ্তর সূত্রে খবর, লাটাগুড়ি জঙ্গলে এই মুহূর্তে স্থানীয় (রেসিডেন্ট) কিছু হাতি ছাড়া অন্য হাতির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জঙ্গল সাফারি রুটে তাই নজরদারি শুরু করা হয়েছে। এর আগে পর্যটকদের জিপসির সামনে হাতি চলে আসার ঘটনা ঘটেছিল। বেশ কয়েকবার হাতির তাড়াও খেয়েছেন পর্যটকরা। তাই সমস্ত জিপসি চালকদের সচেতন করা হয়েছে, যাতে হাতি থেকে নিদিষ্ট দুরত্ব বজায় রাখা হয়।
লাটাগুড়ি রেঞ্জের রেঞ্জার সঞ্জয় দত্ত বলেন, ‘আমরা কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চাইছি না। জঙ্গল সাফারিতে যাতে কোনও সমস্যা তৈরি না হয় সে জন্য গাইড ও চালকদের বিশেষ ভাবে সতর্ক করা হয়েছে। হাতির কাছাকাছি যাতে জিপসি না দাঁড় করানো হয় সেদিকে বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখা হচ্ছে। নিদিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে বন্যপ্রাণী দেখার জন্য বলা হচ্ছে।’
লাটাগুরি জিপসি ওনার্স এসোসিয়েশনের সম্পাদক সমীর দেব বলেন, ‘জঙ্গলে একাধিক দাঁতাল হাতির উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। তাই সমস্ত জিপসি চালকদের বলা হয়েছে, তাঁরা যেন হাতি থেকে নিদিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে চলেন। জঙ্গলে কোনও পর্যটক যাতে গাড়ি থেকে না নামেন সেদিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে।’ ইকো গাইড চঞ্চল দত্ত বলেন, ‘সাবধানতা মেনেই পর্যটকদের জিপসি সাফারি করানো হচ্ছে।’