• রাস্তায় ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসা! ঘটছে দুর্ঘটনা
    এই সময় | ১৩ এপ্রিল ২০২৫
  • এই সময়, স্বরূপনগর: রাস্তার পাশে যত্রতত্র পড়ে রয়েছে ইট, বালি, স্টোনচিপ। ফলে রাস্তার পাশ দিয়ে চলাচলের আর কোনও জায়গা থাকছে না। পিচ রাস্তার উপর দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হন পথচারীরা। তারই জেরে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে। পিচ রাস্তার উপর বালি জমে থাকায় চাকা স্লিপ খেয়ে উল্টে যাচ্ছে বাইক। কখনও আবার পিচ রাস্তার উপর দিয়ে হাঁটতে গিয়ে গাড়ির ধাক্কায় জখম হচ্ছেন পথচলতি মানুষজন। স্বরূপনগর ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পাশে ইমারতি দ্রব্য পড়ে থাকায় এ ভাবেই জেরবার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তা থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করছেন এলাকাবাসী।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে মিনাখাঁয় কলকাতা-বাসন্তী রেডের পাশে বালি ফেলে রাখার কারণে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিন বাইক আরোহী। বালির স্তুূপকে এড়াতে গিয়ে ওই বাইক আরোহী একটি চলন্ত বাসের কাছাকাছি চলে আসেন। তখন বাইকটিকে বাঁচাতে গিয়ে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঢুকে পড়ে রাস্তার পাশের চায়ের দোকানে। ওই ঘটনায় বাসের চালক এবং বাইক আরোহী–সহ মোট তিন জনের মৃত্যু হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, রাস্তায় পাশে বালি জমিয়ে রাখার কারণেই এই বিপত্তি ঘটেছে।

    স্বরূপনগরের গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা গফ্ফর মণ্ডল জানান, রাস্তার পাশে ইট, বালি, পাথর–সহ বিভিন্ন ইমারতি দ্রব্য ফেলে রাখছেন অনেকে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি যাঁরা ইমারতির ব্যবসা করেন তাঁরাও রাস্তায় ইট–বালি জমিয়ে রাখেন।

    ফলে রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার মতো সামান্য জায়গাটুকুও থাকছে না। বাধ্য হয়ে লোকজনকে পিচ রাস্তা ব্যবহার করতে হচ্ছে। এই সব রাস্তা দিয়ে সব সময় দ্রুত গতিতে গাড়ি চলাচল করে। রাস্তার পরিসর ছোট হয়ে যাওয়ায় একটু অসাবধান হলেই দুর্ঘটনা ঘটছে। রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত ছেলে–মেয়ে সাইকেলে চড়ে স্কুলে যায়। তারাও অসুবিধায় পড়ছে। অবিলম্বে রাস্তার পাশে থাকা এই সব ইমারতি দ্রব্য সরানোর দাবি জানাচ্ছেন তিনি।

    স্বরূপনগর ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক বিষ্ণুপদ রায় বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। এ ভাবে রাস্তার পাশে ইমারতি দ্রব্য ফেলে রাখা ঠিক নয়। শীঘ্রই পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

  • Link to this news (এই সময়)