শুক্রবার থেকেই অশান্তি ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের সুতি, সামশেরগঞ্জ-সহ একাধিক এলাকায়। শনিবার মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। রাতভর টহলদারি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। অশান্তির ঘটনা রুখতে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। রবিবার সকাল থেকেও স্পর্শকাতর জায়গাগুলোতে টহলদারি চালাচ্ছে আধা সেনা। রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে টানা রুট মার্চের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গোটা জেলার পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার রাতেই রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং ডিজিপি রাজীব কুমারের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব। ধুলিয়ানে অন্তত ৩০০ বিএসএফ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মুর্শিদাবাদের পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতেও সংবেদনশীল জায়গায় কড়া নজর রাখতে বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব।
রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার রাতেই সামশেরগঞ্জের উপদ্রুত এলাকায় পৌঁছন। ৩০০ BSF ছাড়াও রাজ্য সরকারের অনুরোধে আরও ৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। রাতেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা। সকলকেই ভয় কাটিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়।
শনিবার জঙ্গিপুরের সামশেরগঞ্জ থানা এলাকায় নতুন করে কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। তবে গোটা এলাকায় পরিবেশ থমথমে রয়েছে। রাতে রাজ্য পুলিশের এডিজি সিদ্ধিনাথ গুপ্তা এলাকা পরিদর্শনে বের হয়েছিলেন। রাতে দুটি গোষ্ঠীর লোকজনকে নিয়ে শান্তি কমিটির বৈঠকও হয় ধুলিয়ানে।