• ধুলিয়ানে গুলিবিদ্ধ যুবক, অশান্তির ঘটনায় গ্রেপ্তারির সংখ্যা বেড়ে ১৮০, টহল দিচ্ছে BSF
    এই সময় | ১৩ এপ্রিল ২০২৫
  • সংশোধিত ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনের মাঝেই অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে মুর্শিদাবাদের সুতি, সামশেরগঞ্জ এলাকায়। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। আইন-শৃঙ্খলার অবনতির কারণে হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে জেলার বিস্তীর্ণ অংশে। এখনও পর্যন্ত অশান্তির ঘটনায় মোট ১৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংঘর্ষে শনিবার রাতে আরও এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। সামশের নাদাব নামে ওই যুবককে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার সকালেও সুতি, সামশেরগঞ্জ-সহ বিভিন্ন এলাকায় থমথমে পরিবেশ। রুট মার্চ করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্যের একাধিক দক্ষ পুলিশ আধিকারিকদের মুর্শিদাবাদে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যে।

    জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে ধুলিয়ান পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাঠপাড়ায় এক আত্মীয়ের বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে ছিলেন ওই যুবক। সেই সময়ে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। অন্তত পরিবারের দাবি এমনই। গুলি কোমরের নীচে লেগেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার জঙ্গিপুরের সামশেরগঞ্জ থানা এলাকায় নতুন করে কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। তবে গোটা এলাকায় এখন থমথমে পরিবেশ। রাতে রাজ্য পুলিশের এডিজি সিদ্ধিনাথ গুপ্তা এলাকা পরিদর্শনে বের হয়েছিলেন। রাতে দু’টি গোষ্ঠীর লোকজনকে নিয়ে শান্তি কমিটির বৈঠক হয় ধুলিয়ানে। শনিবার রাতেই জঙ্গিপুরে এসে উপস্থিত হন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। মুর্শিদাবাদে পৌঁছে কিছু এলাকা ঘুরে দেখেন এবং পরে পুলিশ আধিকারিকদের নিয়ে তিনি দফায় দফায় বৈঠক করেন।

    সামশেরগঞ্জ এবং সুতি মিলিয়ে মোট ন’টি স্পর্শকাতর জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বাহিনীর সঙ্গে রয়েছে স্থানীয় পুলিশও। রবিবার সকাল ৯টা থেকে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী স্পর্শকাতর কিছু এলাকায় রুট মার্চ করেছে। জেলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে বাড়তি নজরদারি চালানো হচ্ছে।

    জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুল আহমেদ দাবি করেছেন, অশান্তি পাকানোর জন্য বাইরে থেকে লোক চোকানো হয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘আমি সকলকে শান্তি বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করেছি। আমরা কয়েকজন বিধায়ক এবং স্থানীয় ব্যক্তিদের নিয়ে শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা দিতে একটি রুট মার্চ করেছি। পুলিশ এখানে সক্রিয় রয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী সহযোগিতা করছে। আমরা আশা করি এবং প্রার্থনা করি যে, আমরা সবাই একসঙ্গে থাকব।’

    ধুলিয়ান এলাকা থেকে প্রচুর মানুষ আতঙ্কে মালদা জেলার বৈষ্ণবনগরে চলে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ভাগীরথী পার করে নিজেদের আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে গিয়েছেন রবিবার ভোরের আলো ফুটতেই। যদিও এ দিন সকাল থেকে নতুন করে অশান্তি ছড়ায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

  • Link to this news (এই সময়)