আজকাল ওয়েবডেস্ক: বৈশাখের আগেই কালবৈশাখীর আতঙ্ক। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন জেলায় জেলায় দুর্যোগ। কালবৈশাখীর আশঙ্কায় জমির ফসল কেটে নিরাপদে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা পশ্চিম মেদিনীপুরের কৃষকদের।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সে জেলায়। রয়েছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। এই আভাস পাওয়ার পর জমির ফসল বাঁচাতে তৎপর চাষিরাও। ইতিমধ্যে ঝড়ের ভয়ে জেলার একাধিক চাষিরা জমির ফসল কেটে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
চাষিদের বক্তব্য, গত দু’ দিনের কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিঘার পর বিঘা ধান জমি। ফলে লাভের বদলে, লোকসানের টাকা গুনতে হবে তাদের। তাই ঝড় ও বৃষ্টির আশঙ্কায় ধান ক্ষয়ক্ষতির থেকে বাঁচাতে, এখনই মাঠ থেকে তড়িঘড়ি ধান ঘরে তোলায় ব্যস্ত চাষিরা।
রবিবার সকালে রোদ ঝলমল আকাশ থাকলেও, পরবর্তী সময়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে আকাশ মেঘলা হয়ে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির খবর পাওয়া যায়। এর মধ্যেই ফসল কেটে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং, পিংলা, নারায়ণগড়, ডেবরা, বেলদা, কেশিয়াড়ি , দাঁতন-সহ একাধিক এলাকার কৃষকরা।
জানা গিয়েছে, জেলায় প্রায় ৭০ শতাংশ কৃষক ধান সহ জমির ফসল কেটে গুদামজাত করেছেন। কৃষক গৌতম পাত্র বলছেন, বারংবার এই ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়ে ক্ষতির মুখ দেখতে হয় তাঁদের। গত দুদিনের কালবৈশাখীতে ধান চাষের ক্ষতি হয়েছে। যদিও গাড়িতে ধান কাটা হচ্ছে। তাই সময় থাকতে বাকি ফসল কাটায় ব্যস্ত তাঁরা।