পিসির বাড়ির পিছনের একটি ডোবা থেকে এক নাবালিকার দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদ থানার মনোহরপুর এলাকার ঘটনা। নাবালিকাকে খুনের অভিযোগে তার পিসতুতো দাদাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শিশুর নাম সাহিমা খাতুন। তার বয়স ৬ বছর। প্রথম শ্রেণির পড়ুয়া সাহিমা হাসনাবাদ থানার রামেশ্বরপুরের মনোহরপুর গ্রামের বাসিন্দা। কী কারণে সাহিমাকে খুন করা হল? তার উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে কি না? এই খুনের পিছনে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল থেকে ৬ বছরের ওই বালিকা নিখোঁজ ছিল। গোটা গ্রামে তার খোঁজ চালানো হয়। কিন্তু তার হদিশ মেলেনি। অবশেষে রাতে হাসনাবাদ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করে পরিবার। শনিবার গভীর রাতে একটি ডোবা থেকে নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই আরিফ গাজি নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত স্বীকার করেছেন তিনি খুন করেছেন। যদিও কারণ জানা যায়নি। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মৃত শিশুটির বাবা মিঞারাজ গাজি বলেন, ‘আমি ট্রাক চালাই। শনিবার বাড়িতে ছিলাম না। মেয়ে নিখোঁজ শুনে বাড়িতে আসি। তার পর সব জানতে পেরেছি। কিন্তু কেন এই ঘটনা ঘটল, এখন কিছুই বলতে পারছি না।’ এদিকে ধৃতের বাড়ি সিল করে দিয়েছে পুলিশ। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার হোসেন মেহেদি হাসান বলেন, ‘ধর্ষণের কোনও অভিযোগ নেই। খুনের অভিযোগ আছে। ময়নাতদন্তের পর পুরো বিষয়টি জানা যাবে।’ রবিবার সকালে ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য অভিযুক্তকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম শ্রেণির পড়ুয়া সাহিমাকে তার বাড়ির পাশেই পিসির বাড়ি নিয়ে যাওয়ার নাম করে, ডেকে নিয়ে যায় তারই পিসির ছেলে আরিফ গাজি। পরে আরিফ ফিরে এলেও সাহিমাকে পাওয়া যায়নি। আরিফকেও জিজ্ঞাসা করা হলেও তিনি কিছু বলেননি। মৃতের এক আত্মীয় বলেন, ‘পুলিশ আরিফ গাজিকে ধরে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে সব স্বীকার করেছে। তবে কেন ও খুন করল, আমরা কেউই জানি না।’