জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ওয়াকফ আইন সংশোধনের প্রতিবাদে উত্তাল মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকা। জায়গায় জায়গায় বিক্ষেভ, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যেই হামলা ও পুলিসের গুলিতে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মুর্শিদাবাদের নামানো হয়েছে বিএসএসএফ। এনিয়ে এবার কেন্দ্রের কাছে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানালেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যাতির্ময় সিং মাহাত।
জ্যোতির্ময় সিং মাহাতর দাবি, উত্তেজক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রাজ্যের সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদ, মালদহ, নদিয়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় সেনা বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন আফস্পা(AFSPA) জারি করা হোক। কারণ মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় হিন্দুদের জীবন বিপন্ন। অনেকেই বাড়ি ঘর ছেড়ে পালাচ্ছেন।
বিজেপি সাংসদ ওই দাবি নিয়ে চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। সেখানে তিনি লিখেছেন মুর্শিদাবাদ, মালদহ, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে জারি করা হোক সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন আফস্পা। মুর্শিদাবাদ নিয়ে পদক্ষেপের দাবিতে শাহকে চিঠি দিয়েছেন জগন্নাথ সরকারও। প্রসঙ্গত উপদ্রুত এলাকায় এরকম বিশেষ আইন লাগু করা হয়।
ওই চিঠি নিয়ে জ্যোতির্ময় সিং মাহাত বলেন, আর্মড ফোর্স স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট(AFSPA) অনুযায়ী ওই চার জেলাকে ঘোষণা করা ও ওই আইন লাগু করার অনুরোধ করেছি। ঘর জ্বালাচ্ছে ফিরহাদ হাকিম অ্যান্ড কোম্পানি, ঘরছাড়া করছে ফিরহাদ হাকিম অ্য়ান্ড কোম্পানি, পশ্চিমবঙ্গে খালি করাচ্ছে ফিরহাদ হাকিম অ্য়ান্ড কোম্পানি। আর আমরা প্ররোচনা দিচ্ছি! বিজেপি যতদিন এখানে রয়েছে ততদিন পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ করতে দেব না। দিদিকে এখান থেকে বিদায় নিতেই হবে।
জ্যোতির্ময় সিং মাহাতর ওই মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, বুঝতে পারি না এদের মুখ এত যে খই ফোটে মণীপুরের সময় এরা কোথায় ছিল? দিনের পর দিন মানুষ মরছিল। বাড়ির সামনে একে ৪৭ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকত ঘাতকরা। মণীপুরে বিজেপির সরকার, প্রধানমন্ত্রী একটা কথাও বলেননি। প্রধানমন্ত্রী গোটা পৃথিবী ঘুরে বেড়িয়েছেন, মণীপুর যাওয়ার সময় হয়নি। এখন বাংলায় আফস্পার কথা বলছেন? জ্যোতির্ময় সিং বাবুরা বলুন না! গতকাল ত্রিপুরা সরকার সেখানে সেন্ট্রাল ফোর্স নামিয়েছে। সেখানও তো ৪-৫টি জেলা উত্তপ্ত। সেখানেও কার্ফু জারির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে তো বিজেপির সরকার। দিল্লিতে দাঙ্গা হল। ওখানে প্রধানমন্ত্রী থাকেন, রাষ্ট্রপতি থাকেন, সেই দিল্লি টানা ১০ দিন দাঙ্গায় জ্বলল। দিল্লির প্রশাসন রাজ্যের হাতে নেই অমিত শাহর হাতে। সেই দিল্লিকে জ্বলতে দিলেন আপনারা! আপনাদের নেতা কপিল মিশ্র থেকে অনুরাগ ঠাকুর দাঙ্গায় উস্কানি দিলেন। যারা দিল্লি সামলাতে পারে না, মণীপুর সামলাতে পারে না ত্রিপুরা সামলাতে পারেন না তার বাংলার তিনটে জেলা নিয়ে জ্ঞাণ দিচ্ছে? বাঙালি কি বোকা। একটু আগেই অর্জুন সিং বলেছে, উত্তরপ্রদেশ, বিহার থেকে লোক এনে নাকি ঠান্ডা করবে। সরকারকে বলব এর তদন্ত করতে। আপনাদের যে মাথা তাকে টেনে গরাদে ঢোকাতে।