‘প্রথম দিনেই আরও কঠোর হতে পারত পুলিশ’, মানছেন তৃণমূল বিধায়ক
প্রতিদিন | ১৩ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলেরই বিধায়ক। ভরতপুরের ‘বিতর্কিত’ বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের কথায়, প্রথম দিন থেকেই পুলিশকে আরও কঠোর হতে হত। তাহলেই স্পষ্ট হয়ে যেত অশান্তির নেপথ্যে কে বা কারা আছে। একইসঙ্গে তিনি একপ্রকার মেনে নিয়েছেন, মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ।
ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় উত্তাল হয়েছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ, সুতি, ধুলিয়ান। প্রাণ গিয়েছে তিনজনের। জ্বলেছে পুলিশের গাড়ি, বাড়িঘর, দোকান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শুক্রবার রাত থেকে নেমেছে বিএসএফ। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে শনিবার রাত থেকে আধা সেনাও নামানো হয়। এর পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ পুলিশ? জনপ্রতিনিধির মুখেও শোনা গেল একই কথা। ভরতপুরের বিধায়ক বলেন, “তারা ব্যর্থ হয়েছে। কারণ, তারা যদি প্রথমেই, যেদিন শুরু হয়েছে, সেদিন যদি কঠোর হত বা কারা লিডারশিপ দিয়ে দু’ঘণ্টা ধরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ব্লক করছে, সেটা যদি চিহ্নিত করতে পারত, তাহলে তার পরবর্তীতে যেটা ঘটছে, এটা আমার মনে হয় হত না।”
এলাকায় শান্তি ফেরাতে তৃণমূল বিধায়কের আরও সংযোজন, “তিনটে-চারটে থানা এলাকা সেখানে কী এমন জঙ্গি জোগাড় হয়েছে! কোথা থেকে কে শক্তি জোগাচ্ছে? পুলিশ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের, অন্য দলেরও যাঁরা গুরুত্বপূর্ণ লোক, শুধু তাদের ডেকে পিস কমিটি করুক। হুইপ দিয়ে দিক। ১৬৩-র সঠিক প্রয়োগ করুক। সব পিস হয়ে যাবে।” একইসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, “বিএসএফকে ডাকতে হবে কেন? লোকাল পুলিশ যথেষ্ট। এনাফ।”
উল্লেখ্য, ওয়াকক সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ ‘গুন্ডামি’তে পরিণত হয়েছে। বিপর্যস্ত জনজীবন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। শনিবার রাত থেকেই ধুলিয়ান, সুতির বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন রয়েছে আধাসেনা। টহলদারি করছেন জওয়ানরা। চাপা উত্তেজনা থাকলেও এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।