এর দায় জনপ্রতিনিধিরা এড়াতে পারেন না, দলেরই MP, MLAদের আক্রমণ হুমায়ুনের
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৩ এপ্রিল ২০২৫
বিধানসভা ভোটের আগে ‘হিন্দুদের কেটে ভাগিরথিতে ভাসিয়ে দেব’ বলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। আর তাঁর জেলারই একাংশে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোয় সেখানকার দলীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ আধিকারিকদের আক্রমণ করলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির। রবিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, এই হিংসার দায় সেখানকার সাংসদ ও বিধায়করা এড়াতে পারেন না।
হুমায়ুন বলেন, ‘সুতি ও সামসেরগঞ্জে বসবাস করে আমিনুল ইসলাম, ফরাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলাম। সাগরদিঘির বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসের বাড়িও ওই এলাকায়। মঙ্গলবার যখন প্রথমবার বিভিন্ন জায়গা থেকে উমরপুর মোড়ে জমায়েত হচ্ছিল তখন সেখানকার বিধায়ক জাকির হোসেন কী করছিলেন? তিনি এখন বলছেন যারা এসেছিল তারা বাইরের লোক, বহিরাগত। অন্যান্য বিধানসভা এলাকা থেকে এসেছে। স্থানীয় তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমানও একই কথা বলছেন। তাহলে জনপ্রতিনিধি হিসাবে আপনাদের ভূমিকা কী? পুলিশের ভূমিকা কী? এই দায় জনপ্রতিনিধিরা কোনও ভাবেই এড়াতে পারেন না। তাঁদের গাফিলতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে।’ স্থানীয় সাংসদ খলিলুর রহমানকে তাঁর কটাক্ষ, ‘খলিলুরকে MP গিরি করতে হবে না। ও ব্যবসায়ী মানুষ, ব্যবসা করুক।’
হুমায়ুনের প্রশ্ন, ‘উমরপুরের ঘটনার পরেই পুলিশের সতর্ক হওয়ার কথা ছিল। ওখানে একজন পুলিশ সুপার রয়েছেন, একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রয়েছেন, এতগুলো থানা রয়েছে। তারা কী করছিল? একটা প্রেস বিবৃতি দিলেই কাজ মিটে যায় না। মানুষকে নিরাপত্তা দিতে এরা ব্যর্থ।’
হুমায়ুনের মন্তব্যকে কটাক্ষ করে বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক শংকর ঘোষ বলেন, ‘উনি যাদের দিকে আঙুল তুলছেন উনি নিজে তাদের মধ্যে একজন। কার্তিক পুজোর সময় যখন বেলডাঙায় হিংসা ছড়িয়েছিল তখন ওনার এই চেতনা কোথায় ছিল? তৃণমূলের রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে নিজের দলের নেতাদের ওপর চাপ তৈরি করতে উনি এসব বলছেন। খলের ছলের অভাব হয় না।’