বাংলার সীমানা লাগোয়া কয়েকটি জেলাকে ‘অশান্ত এলাকা’ বলে ঘোষণা করে AFSPA অর্থাৎ, আর্মড ফোর্স স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট (সশস্ত্র বাহিনি বিশেষ ক্ষমতা আইন) লাগু করার দাবি তুলল BJP। উত্তর-পূর্ব ভারতের হিংসাধ্বস্ত রাজ্যগুলি বা জম্মু-কাশ্মীরের অনেক জায়গায় এই আইন বলে সেনাকে বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছে কেন্দ্র। এ বার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে একটি চিঠি লিখে এই আইন বাংলাতেও জারির দাবি জানালেন BJP সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।
রবিবার অমিত শাহকে লেখা এই চিঠিতে জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো জানিয়েছেন, বাংলার সীমানা লাগোয়া মুর্শিদাবাদ, মালদা, নদিয়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ধারাবাহিক ভাবে অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন হিন্দুরা। অথচ রাজ্য প্রশাসন এই নিয়ে নিশ্চুপ। সাংসদের অভিযোগ, ‘তোষণের রাজনীতি করছে তৃণমূল।’
জ্যোতির্ময় মাহাতর দাবি, সংশোধিত ওয়াকফ আইন বিরোধী হিংসাত্মক বিক্ষোভে মুর্শিদাবাদ জেলায় হিন্দুদের প্রায় ৮৬টি বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা হরগোবিন্দো দাস এবং তাঁর ছেলেকে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঝাউবোনা গ্রামে পানের বরজে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এগুলি হিন্দুদের নিশানা করে ‘ইকনমিক স্যাবোটেজ’ বা ‘অর্থনৈতিক অন্তর্ঘাত’ বলে অভিযোগ করেছেন সাংসদ।
বাংলায় হিন্দুদের উপর আক্রমণের অভিযোগ করতে গিয়ে, নয়ের দশকে জম্মু-কাশ্মীরে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর হওয়া অত্যাচারের ঘটনার তুলনা টেনেছেন বিজেপি সাংসদ। আর এই প্রসঙ্গেই AFSPA জারির দাবি জানিয়েছেন জ্যোতির্ময় মাহাত। তিনি বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের সীমানা লাগোয়া জেলাগুলিতে AFSPA জারি করার অনুরোধ জানাচ্ছি। এর ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। ভবিষ্যতে হিংসা, অশান্তি বন্ধ হওয়ার নিশ্চয়তাও মিলবে। হিন্দুরাও সুরক্ষিত থাকবে।’
অন্য দিকে রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকারও চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতির বিষয়ে অমিত শাহর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি। NIA তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন এই BJP সাংসদ। শান্তি ফেরাতে দ্রুত পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন জগন্নাথ সরকার।