সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে শুক্রবার রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান, সুতি মোড় এলাকা। অবরোধ তুলতে চাওয়ায় পুলিশের উপর আক্রমণ শুরু হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়ি, সরকারি বাসও। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে ১২ নম্বর রাজ্য সড়ক ও রেল পথেও। পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হয় শনিবার। আদালতের নির্দেশে নামাতে হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। সড়ক ও রেলপথে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগ কি এখন স্বাভাবিক?
শুক্রবার ধুলিয়ানে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে অশান্তি আরও বাড়তে থাকে। গুলিবিদ্ধও হন এক যুবক। তবে রবিবার থেকে নতুন কোনও অশান্তির খবর মেলেনি। সড়ক পথে যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে। জঙ্গিপুরের মহকুমা শাসক ইকাম জে সিং বলেন, ‘যান চলাচলের কোনও অসুবিধা নেই। জাতীয় সড়ক হয়ে সকাল থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’
অন্যদিকে, অশান্তির কারণে শুক্রবার ব্যাহত হয়েছিল ফরাক্কা-আজিমগঞ্জ সেকশনে রেল যোগাযোগ। ধুলিয়ান গঙ্গা স্টেশনে আটকে পড়ে পুরী-কামাখ্যা আজিমগঞ্জ-মালদা টাউন-সহ একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। কয়েকটি ট্রেন বাতিলেরও খবর পাওয়া গিয়েছিল। তবে, রবিবার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক দীপ্তিময় ঘোষ বলেন, ‘রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে। কোনও ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হয়নি। কোনও ট্রেন বাতিল করা হয়নি।’