এক যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে খুনের অভিযোগ উঠল নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। গত ৭ এপ্রিল, সোমবার ভোরে আরোগ্য নিকেতন নামে ওই কেন্দ্রের এক ঘরে, ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল চেতলার বাসিন্দা সন্দীপ সিং (২০)-এর দেহ। নেশামুক্তি কেন্দ্রটির দাবি আত্মহত্যা করেছেন সন্দীপ। তবে রবিবার (১৩ এপ্রিল), তাঁর ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে নরেন্দ্রপুর থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেছেন সন্দীপের বাবা।
নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের ফরতাবাদ এলাকায় অবস্থিত ‘আরোগ্য নিকেতন’। নিহত সন্দীপ সিং-এর বাবা সন্তু সিং জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ছেলেকে সেখানে রেখে এসেছিলেন তিনি। চার মাস পর, ৯ এপ্রিল সন্দীপকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসার কথা ছিল। কিন্তু, তার আগেই ৭ এপ্রিল নেশামুক্তি কেন্দ্রটি থেকে ফোন করে সন্দীপের মৃত্যু সংবাদ দেওয়া হয়।
সন্দীপের পরিবারের আরও অভিযোগ, হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়নি সন্দীপকে। এই অবস্থায় আরোগ্য নিকেতন-এর বিরুদ্ধে একাধিক গাফিলতি ও সন্দীপকে হত্যার অভিযোগ এনেছে তাঁর পরিবার। নেশামুক্তি কেন্দ্রটির ম্যানেজার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে সন্তু সিংয়ের। তিনি বলেছেন, ‘রবিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। পুলিশ কী পদক্ষেপ করছে সেটা আমরা দেখব। ছেলের কাজ চলছিল, তাই আগে অভিযোগ জানাতে পারিনি। ছেলেকে সুস্থ করে তোলার জন্য তাকে হোমে রেখে এসেছিলাম। কিন্তু ৭ তারিখ দেখলাম এই অবস্থা। ওই দিন ভোরবেলা হোম থেকে আমাকে ফোন করে বলছে, আমার ছেলে সুইসাইড করেছে। কিন্তু ছেলেকে খুন করা হয়েছে। আমরা থানায় এফআইআর করেছি।’
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, নেশামুক্তি কেন্দ্রটিতে মোট ১২ জন আবাসিক ছিল। তবে সন্দীপের মৃত্যুর পরই তড়িঘড়ি তাদের নিজ নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার পর নেশামুক্তি কেন্দ্রের দরজায় তালা লাগিয়ে পালিয়েছে হোম কর্তৃপক্ষ। থেকেই নেশামুক্তি কেন্দ্রের দরজায় তালা দিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশও কেন্দ্রটি তালা বন্ধ অবস্থায় পেয়েছে। নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।