ভালো বান্ধবী ছিল দুই কিশোরী। চুটিয়ে প্রেমও করছিল। কিন্তু বান্ধবীর মুখে প্রেমিকের কটূক্তি সহ্য হয়নি। হাতাহাতি, মারপিট। আর তার জেরেই প্রাণ গেল যুবকের। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে লিলুয়ার বামনগাছিতে। খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে লিলুয়া থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম সাগর তিওয়ারি (১৮)। বাঁধঘাাটের একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে প্রেম ছিল তার।
দশম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর আবার ভালো বন্ধুত্ব ছিল। দু’জনেই প্রেম করত। সেটা দু পক্ষই জানত। এই নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথাও হতো। আড্ডা দিতে দিতেই নবম শ্রেণির ছাত্রীর প্রেমিককে নিয়ে কটু কথা বলে বসেন তার বান্ধবী। এখান থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত।
প্রথমে ঝগড়া, বিবাদ। কিন্তু সমস্যার নিষ্পত্তি হয়নি। শেষে দুপক্ষ ঠিক করে, আলোচনার মাধ্যমেই ঝামেলা মেটাতে হবে। সেই মতো, দুই বান্ধবী, তাদের প্রেমিক বামনগাছিতে জড়ো হয়। সঙ্গে আসে তাদের বন্ধুবান্ধবও। অভিযোগ, কথা চলাকালীন আচমকাই সাগরকে বাঁশ দিয়ে পেটাতে শুরু করে দশমের ওই ছাত্রীর প্রেমিক।
গুরুতর জখম সাগরকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত সাগরেকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শুক্রবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃতের মা আঙুল তুলেছেন ছেলের প্রেমিকার দিকে। তাঁর দাবি, ওই মেয়েই তাঁর ছেলেকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। খুনের দিনও ছেলেকে সেই ফোন করে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি। অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেন নবম শ্রেণির ছাত্রীর বাবা। তাঁর দাবি, সাগরই তার মেয়েকে জ্বালাতন করত, বারণ করলেও পাত্তা দিত না।
তথ্য সহায়তা: সুপ্রকাশ চক্রবর্তী