ডিজিটাল যুগেও অমলিন বাংলা ক্যালেন্ডার, খুশি দোকানিরা
আজকাল | ১৪ এপ্রিল ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: কদর কমলেও পয়লা বৈশাখ এলেই ক্যালেন্ডারের কথা মনে পড়ে। আগের মত তার যোগাড়ের তাগিদ অতটা নেই। তবে হাতের সামনে এক ঝলকে সন তারিখনামা দেখে নেওয়ার বিষয়ে তার কোনও বিকল্পও নেই।
বছরের শেষ লগ্নে ক্যালেন্ডার যারা বানান বা বিক্রি করেন এটাই তাদের সিজন। তারা জানাচ্ছেন, যা চাহিদা আছে এখন যোগান দেবার পালা চলছে।ডিজিটাল যুগে কদর কমছে বাংলা ক্যালেন্ডারের। মাথার ওপর সূর্যের গনগনে আঁচ আর পায়ের নিচে তপ্ত মাটি জানান দিচ্ছে চৈত্রের শেষ লগ্ন উপস্থিত। দু’দিন পরেই পয়লা বৈশাখ। পয়লা বৈশাখ মানেই হালখাতা। আর হালখাতা মানেই বিভিন্ন দোকানে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে ক্যালেন্ডার ও মিষ্টি।
ক্যালেন্ডারের সেই নতুন পাতাগুলি প্রত্যেকের জীবনে নিয়ে আসে নতুন বছরের বার্তা। সারা বছর কোনওরকম ছাপার কাজ চললেও প্রতিবছর পয়লা বৈশাখের আগে প্রচুর পরিমাণে ক্যালেন্ডারের অর্ডার মিলত।কিন্তু বর্তমানে ডিজিটাল যুগে অনেকটাই কম তৈরি হচ্ছে ক্যালেন্ডার, এমনই মনে করছেন দোকান মালিকরা।
দোকান মালিকরা জানান, তাদের বিক্রি কিছুটা কমছে।আগে যেখানে ৪০ হাজার ক্যালেন্ডারের অর্ডার থাকত এখন সেটা ৩০ হাজারের মতো। আর এক দোকানদার বলেন, তিনি এখনও ৫০ হাজার ক্যালেন্ডার ছেপেছেন। তবে এই ডিজিটাল যুগে কাজ কিছুটা কম।
শুধু বর্ধমান নয়, আশেপাশের জেলা এমনকি ভিনরাজ্যে যায় এই ক্যালেন্ডার৷ বিক্রেতারা জানান, প্রতি ক্যালেন্ডার ৭.৫০ টাকা থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হয়। চাহিদা বেশি ১২ টাকা অবধি। কর্মীরা জানান, হাতে সময় আর দু’দিন। তাই নাওয়া খাওয়া শিকেয় তুলে কাজ চলছে।